স্মৃতিময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৬৮ সালের জুনের মাঝামাঝি কোনো একদিন ভর্তি হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগে। সেই থেকে শুরু হলো আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ছয় বছরের ছাত্রজীবন। সিট পেলাম মাস্টারদা সূর্যসেন হলে (তৎকালীন এমএ জিন্নাহ হল)। একাত্তরের ২৪ মার্চ পর্যন্ত এ হলেই ছিলাম।
২৩ মার্চ সকালে ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে পিকেটিং করার সময় রেজিস্ট্রার ভবনের সামনের মলে টিয়ার শেলের আঘাতে পায়ে সমস্যা হওয়ায় পরদিন বিকালে চলে গিয়েছিলাম এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেদিন ভাগ্যচক্রে এ যাওয়াটার কারণেই আজ দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পর এ প্রবন্ধটি লিখতে পারছি একটি স্বাধীন ভূমিতে বসে। যাক, সে অন্য এক কাহিনি।
কয়েকদিন পর পরিচিত একজনকে নিয়ে বের হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে দেখব বলে। প্রথমেই মনে হলো, যাই দেখি লাইব্রেরিটা কেমন। দেখি বিরাট লাইব্রেরি। তখনও লাইব্রেরি কার্ড করা হয়নি, তাই ঢুকতে পারলাম না। বহু ছাত্রছাত্রী ঢুকছে, বের হচ্ছে। লাইব্রেরির অদূরে দেখলাম মধুর ক্যান্টিন।
এ ক্যান্টিনে বসেই নওয়াব সলিমুল্লাহ ও অন্যরা অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন। অনেক ছাত্র বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে, কেউ কেউ চায়ের কাপে ঝড় তুলছে। কিন্তু কোনো ছাত্রী দেখতে পেলাম না। পরে শুনেছি, পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই নাকি মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রী। ওরা এখানে আসে না।
পরে দেখেছি মধুসূদন দে’র ‘মধুর ক্যান্টিন’ আরও বেশি বিখ্যাত হয়ে ওঠে রাজনীতির লোকদের আনাগোনার কারণে। এটি পরিণত হয় আন্দোলনের কেন্দ্রভূমিতে। বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তখন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব আন্দোলনে মধুর ক্যান্টিন বিশাল ভূমিকা পালন করে, যদিও এটি এককালে নবাবদের বাগানবাড়ির দরবার কক্ষ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
মধুর ক্যান্টিনের মালিক মধুসূদন দে-কে দেখেছি, তিনি ছিলেন সব আন্দোলনে সহযোগী। হয়তো এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই তাকে স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূসহ নির্মমভাবে নিহত হতে হয়েছে পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে।
পাশেই পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা একটা বিল্ডিংয়ের সামনে সাদামাটা একটা গেটে একটা ইংরেজি সাইনবোর্ড লাগানো-ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। পশ্চিম পাশের বিল্ডিংটার নাম ‘নিপা’। এটা সরকারি একটি অফিস। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নয়। এখানে সরকারি কর্মকর্তাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে এ ভবনটি বাণিজ্য অনুষদকে (বর্তমানের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) দিয়ে দেওয়া হয়। এ ভবনটি পার হয়ে ‘জিন্নাহ হল’-এর দিকে যাওয়ার পথে ডান পাশে দেখলাম ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেল-বিদেশি ছাত্রদের থাকার জন্য নির্ধারিত হোস্টেল। তখন মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, কোরিয়া থেকে অনেক ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেলে পড়তে আসত; তাদের থাকার জন্য এ হোস্টেলটি নির্মাণ করা হয়।
এ হোস্টেলটির পেছনে আর পশ্চিম পাশের বিশাল জায়গাটি ছিল খালি; পশ্চিম পাশে কাঁটাবন বস্তি নামে একটা বস্তি ছিল, যেখানে ছিল অন্তত কয়েক শ লোকের বসবাস। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বস্তি উচ্ছেদ করে এ জায়গাটির দুপাশে তিনটি আবাসিক হল নির্মাণ করা হয়েছে-বঙ্গবন্ধু হল, জিয়াউর রহমান হল আর কবি জসীমউদ্দীন হল।
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখলাম, মাঠের পূর্বদিকে দক্ষিণাংশে একটা ছোটখাটো দালানের মতো। কাছে গিয়ে দেখি কিছু কথা লেখা আছে; কিন্তু শব্দগুলো দুর্বোধ্য। ওখানকার কর্মচারী একজনকে জিজ্ঞাসা করে কোনো সদুত্তর পাইনি। পরবর্তী সময়ে আমার কয়েকজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করেও কিছু জানতে পারিনি।
অনেক পরে একটা ইতিহাসের বই থেকে জেনেছি, এটি আসলে গ্রিকদের একটি কবরের স্মৃতিচিহ্ন। ১৮০০-১৮৪০ সালের দিকে নির্মিত এ সমাধিটি ডিমিট্রিয়াস নামক একটি গ্রিক পরিবারের চার সদস্যের স্মৃতিবহনকারী সমাধিসৌধ। গ্রিকরা নাকি এসেছিল মূলত ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে, বসবাস করেছে নারায়ণগঞ্জ আর ঢাকায়; আমেরিকা-ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করত পাট, লবণ, কাপড় আর চুন।
কলা ভবনের দক্ষিণ পাশের ভবনটি যে উপাচার্যের বাসভবন, তা জানতাম না। তখন উপাচার্য ছিলেন ড. ওসমান গণি। এ বাড়িতে প্রথম উপাচার্য হয়ে আসেন জোসেফ হার্টগ, ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে ১ জুলাই ১৯২১ সালে। তার পরে উপাচার্য হয়ে আসেন স্যার ফিলিপ জোসেফ।
জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত এ ভবনে থেকেছেন ২৮ জন উপাচার্য; সরলরেখার সর্বশেষে অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। উপাচার্য ভবনের উত্তরদিকে বর্তমান মলের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় ছিল প্রক্টর ভবন, লাল রঙের, দোতলা। একদিন ভবনের সামনেই দেখা হয়ে গেল প্রক্টর অধ্যাপক মোহর আলীর সঙ্গে-হাসিখুশি ভদ্রলোকের কথায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তিনি জানালেন, ‘এটি ব্রিটিশরা তৎকালীন ইংরেজ গভর্নরের বাড়ির (বর্তমান উপাচার্য ভবন) সামনেই বানিয়েছিল, সম্ভবত তাদের খেদমতগারদের থাকার জন্য। এখন আমি থাকি, তোমাদের খেদমতগার।’
আরেক দিন গেলাম কার্জন হল দেখতে। সামনে এখনকার মতো এত সুন্দর বাগান ছিল না। ছিল ছোট ছোট গাছের সমাহার। বিপরীত দিকেই হাইকোর্ট ভবন। লাল রঙের ভবনের সামনে একটি নামফলকে দেখতে পেলাম লর্ড কার্জন নামে ভারতের ভাইসরয় ভবনটির উদ্বোধন করেছেন ১৯০৪ সালে।
জর্জ নাথানিয়েল কার্জনের নামেই এ ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে কার্জন হল। জানতে পারলাম, কার্জন হলটি টাউন হল হিসাবে ব্যবহারের জন্য নির্মিত হয়; কিন্তু ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ভবনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যা বিজ্ঞান বিভাগের জন্য নির্ধারিত ছিল। তখন সেখানে শুধু বিজ্ঞান বিভাগই ছিল।
অন্যান্য বিভাগ অনেক পরে হয়েছে। এখন অন্য যেসব ভবন আশপাশে দেখা যায়, সেগুলো পরে মূল ভবনের আদলে নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কার্জন হলের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এ ভবনেই যখন পাকিস্তানের জনক নামে পরিচিত মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা দেন, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এখানেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ৪৬ বছরের স্মৃতিজড়িত। এখনো স্মৃতিতে আরও অনেক কিছু প্রদীপশিখার মতো জ্বলছে। স্থানাভাবে এখানে সব তুলে ধরা সম্ভব নয়। শুধু আর কয়েকটি স্মৃতিচারণ করে শেষ করব। মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কয়েক বছর আগে থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি বাঙালি পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম তীব্রতর করে তোলে। ওই রকম একটি সময়েই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই।
মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে শুরু করি। সর্বজনাব তোফায়েল আহমেদ, ওবায়দুল কাদের, শাহজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুছ মাখন প্রমুখ ছাত্রনেতার নেতৃত্বে তখন সব রকমের সভায় অংশগ্রহণ করতাম। উনসত্তরের গণআন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা এবং কয়েকজন শিক্ষক যেভাবে আমাদের সংগ্রামে একাত্ম হয়ে উৎসাহ দিয়েছেন তা ছিল অতুলনীয়।
সে সময়েই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সঙ্গে ভালোভাবে পরিচয় ঘটে। ১৯৬৯ সালে রেসকোর্স ময়দানে (তখন ছিল এটি ঘোড়দৌড়ের মাঠ। চারুকলা ইনস্টিটিউটের পূর্বপাশ ঘেঁষে রাস্তার পাশে ছিল উত্তরে-দক্ষিণে লম্বাটে জিমখানা, রেসের ঘোড়া রাখার ঘর) যখন জেল থেকে মুক্তির পর বাঙালির মুক্তির নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয় এ ময়দানে, তখন দূরে বসার কারণে বঙ্গবন্ধুকে ভালো করে দেখতে পাইনি; শুধু ভাষণ শুনেছি।
এরপর একাত্তরের ৩ জানুয়ারি এ ময়দানেই আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আর ৭ মার্চ তো ময়দানটি বিখ্যাত হয়ে উঠল বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় ভাষণের জন্য, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আহ্বান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সৌভাগ্য না হলে এমন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা কখনো সম্ভব হতো না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি স্মৃতি কখনো ভুলার নয়। পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, সেসময়ে একাত্তরের সম্ভবত ২ মার্চ (সঠিক তারিখটা মনে পড়ছে না) ছাত্রনেতাদের উদ্যোগে কলা ভবনের সামনে বটতলায় উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মানচিত্রখচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
এ দুঃখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে এ বটগাছটিকে কেটে ফেলে হৃদয়ের ক্ষোভ মেটায়। পরবর্তী সময়ে বাহাত্তর সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি একটি বটের চারা একই স্থানে লাগিয়ে দেন, যা আজও সেই অতীতের বটগাছকে স্মরণ করিয়ে দেয়। দুটি সময়েই সেখানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।
এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অনেক ভাস্কর্য নির্মাণের সাক্ষী আমি। বেশির ভাগই তৈরি করেছেন নন্দিত ভাস্কর্যশিল্পী শামীম শিকদার। যেগুলো তৈরি ও উদ্বোধন দেখেছি সেগুলো হলো কলা ভবনের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলা’ (রূপায়ণে শিল্পী সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ), ফুলার রোডে উদয়ন স্কুলের পাশে স্বাধীনতাসংগ্রাম চত্বরে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ আর ‘অমর একুশে’, আনোয়ার পাশা ভবনের সামনে ‘বীরশ্রেষ্ঠ স্মারক ভাস্কর্য’, রোকেয়া হলের পূর্বদিকে সড়কদ্বীপে ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’, ‘রাজু ভাস্কর্য’, মহসিন হলের সামনে ‘রাউফুন বসুনিয়া ভাস্কর্য, শামসুন নাহার হলের পাশে ‘শহীদ মিজান ভাস্কর্য’, জগন্নাথ হলের ভেতরে ‘স্বামী বিবেকানন্দ ভাস্কর্য’ এবং চারুকলা অনুষদের ভেতরে ‘জয়নুল স্মৃতি ভাস্কর্য’।
কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (বাংলাদেশের জাতীয় কবি) স্মৃতিসৌধ তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই গৌরবান্বিত করেছে। এসব ভাস্কর্য আর স্মৃতিসৌধ এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ সমাপ্তির পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি অনেক ঘাত-প্রতিঘাত; কারও কারও মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার নাটক, সরকারবিরোধী হওয়ার কূটচাল, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাস মুখরিত করার প্রয়াস, না-বুঝে না-শুনে সরকারবিরোধিতা, আরও কত কী।
বিজয়ের চার মাস পরেই অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের দুটি পৃথক প্যানেল দেওয়ার কারণে হেরে যাওয়া, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনের জন্য কাজ না করে দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে ক্যাম্পাসে। বঙ্গবন্ধুর ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রত্যাহার করার জন্য আন্দোলনে নেমে পড়ে একটি গোষ্ঠী।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার পর যে দৃশ্য দেখেছি কিছু শিক্ষক আর ছাত্রনেতার মধ্যে, তা ছিল রীতিমতো অবিশ্বাস্য। প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নামা তো দূরের কথা, প্রতিবাদের স্মারকলিপিতে পর্যন্ত সই করতে নারাজ ছিল অনেকে। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে একদিন মিছিলও হয়েছিল, যদিও অতি অল্প সময়ের জন্য।
আগামী ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি। আজ ২১ জানুয়ারি শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশিষ্ট অ্যালামনাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন।
এ উপলক্ষ্যে কিছু স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমার ‘আলমা মাতের’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সাবেক ও বর্তমান সব সদস্যকে জানাচ্ছি গোলাপ শুভেচ্ছা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কামনা করছি অদম্য সাফল্যমুখর অগ্রযাত্রা।
ড. এম এ মাননান : উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়