স্কোয়াশ চাষে সফলতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর
নিউজ ডেস্ক।।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গোমজানি গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ। বাবার জমিতে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অলস বসে না থেকে পরীক্ষামূলকভাবে স্কোয়াশ চাষ করেন। তার চাষ করা স্কোয়াশের ফলনও হয়েছে ভালো। এতে মহা খুশি শাকিল। কৃষি বিভাগও এ অঞ্চলে স্কোয়াশ চাষ সম্প্রসারণের কথা ভাবছে।
গোমজানি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে শাকিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গতবছর কৃষিতে বিএসসি পাস করেন। তিনি বলেন, করোনার বন্ধে বাড়িতে এসে অলস সময় কাটাচ্ছিলাম। অলস সময়ে নিজের বাবার জমিতে কিছু একটা চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করি। ইন্টারনেট ঘেটে সবজি জাতীয় বিদেশি ফসল স্কোয়াশ চাষ করার উদ্যোগ নেই। বাবার ৪০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশের বীজ রোপণ করি। নিজে কৃষি বিভাগের ছাত্র হওয়ায় এ বিষয়ে আগেই কিছুটা ধারণা ছিল। ইন্টারনেট থেকেই জেনে নেই বিষমুক্ত ফসল আবাদের কৌশল। নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। প্রথম দফাতেই স্কোয়াশের ভালো ফলন পেয়েছি। জমিজুড়ে লম্বা আকৃতির স্কোয়াশ দেখে নিজের মধ্যে আনন্দ লাগছে। স্কোয়াশ বিক্রি করে আমি আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হওয়ার আশা করছি।
ছেলের এ সফলতায় খুশি শাকিলের বাবা আব্দুল করিম। তিনি আগামীতে তার ছেলেকে আরও বেশি জমি চাষাবাদের জন্য দেবেন। শাকিলের পরামর্শে তার চাচাতো ভাইও স্কোয়াশ চাষ করেছেন। তিনিও ভালো ফলন পেয়েছেন। নিজেদের এলাকায় অচেনা ফসল স্কোয়াশ চাষের সফলতার কথা জেনে আরও অনেকেই স্কোয়াশ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
দেলদুয়ার উপজেলা
কৃষি কর্মকর্তা শোয়েব মাহমুদ বলেন, চলতি মৌসুমে দেলদুয়ার উজেলায় এক হেক্টর জমিতে স্কোয়াশের চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্কোয়াশ চাষিদের সব ধরনের সহায়তা করছে। পুরো টাঙ্গাইল জেলায় স্কোয়াশ চাষ ছড়িয়ে দেওয়া গেলে লাভবান হবেন চাষিরা। ওয়েবসাইট