স্কুল সভাপতির গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গৈয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুউদ্দিনকে (৫০) চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন ওই স্কুলের সভাপতি আবদুল হান্নান খান।
এ ঘটনায় স্কুল সভাপতির গ্রেফতারের দাবিতে রোববার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় শিক্ষক পরিবারের ব্যানারে কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষকরা।
উপজেলার খেপুপাড়া মংগলসুখ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসা. সুরাইয়া নাসরিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন খেপুপাড়া সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলাম, কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক মো. মাসুম বিল্লাহ, খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, কলাপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার মূল নায়ক ওই স্কুলের সভাপতি আবদুল হান্নান খানকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এর আগে এ ঘটনায় শনিবার রাতে আহত স্কুল শিক্ষকের ভাই এসএম ফখরুদ্দীন বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় মো. হান্নান খান ও মো. মান্নান হাওলাদারকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এসআই শওকত জাহানকে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শওকত জাহান বলেন, ‘কলাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী স্যারসহ আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে সোর্স নিয়োগ করা আছে। যেকোনো সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, উপজেলার দক্ষিণ গৈয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হান্নান খানের ছোট ভাই আবদুল হামিদ খান অবৈধভাবে দখল করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অবস্থান করছিলেন। ওই কক্ষে সভাপতি স্কুলের বৈদ্যুতিক লাইন দেয়ার কথা বললে প্রধান শিক্ষক কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতীত দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
শুক্রবার বাদ জুমা এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সভাপতি চেয়ার দিয়ে প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।