দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ: আহত ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোনাঃ জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর পল্লী জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবলীগ নেতা সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, অফিস ভাংচুরের মত ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস, তার ভাই সুজন বিশ্বাস, নাজিরপুর ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের সাবেক ছাত্রনেতা ফয়সাল আহমেদ রনি, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী মাসুদ রানা।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম (পিপিএম)। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, 'নাজিরপুর পল্লী জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত করার লক্ষ্যে মিটিং শুরু হয়। এতে সভাপতি প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস বাবুল ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আব্দুল আলী স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটার পেয়েছেন বলে জানান। পরে পরিবেশ ঘোলাটে আকার ধারণ করলে সংসদ সদস্যের নির্দেশে সভাপতি নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়।'
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস অভিযোগ করে জানান, 'সভাপতি নির্বাচনে সংসদ সদস্য মানু মজুমদার ডিও লেটার দেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীকে। হঠাৎ কথার এক পর্যায়ে বিপক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাদের উদ্ধার করেন বলে জানান।'
স্কুল কমিটির সভাপতি প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস বাবুল বলেন, 'কমিটির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দ ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. তারিকুল ইসলাম তালবাহানা শুরু করে। গত বুধবার মিটিং এ নির্বাচিত ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জনের সমর্থন পান তিনি। এছাড়া তিনজন শিক্ষকের সমর্থনও পান বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু তাকে সভাপতি ঘোষণা না করে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলীকে সভাপতি করার পাঁয়তারা করেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস। এমপি ডিও লেটার দিয়েছেন তা শুধু মুখেই বলছেন, কিন্তু দেখাচ্ছেন না। পরে মিটিং স্থগিত করে চলে যাওয়ার পথে স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়। কিন্তু তিনি আপ্রান চেষ্টা করেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।'
তিনি আরো বলেন, 'উপজেলার বেশিরভাগ স্কুলেই কমিটি গঠন নিয়ে মারামারি ও মামলা হামলা ঘটছে। এমনটাই যদি হবে তাহলে নির্বাচনের প্রয়োজন কি?'
উপজেলা সদরের চথরুমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইটভাটা মালিক শাহবাজ মিয়া জানান, 'নাজিরপুর স্কুলের কমিটি নিয়ে নিয়ে মারামারি হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় আমার চেম্বারে পলাশ বিশ্বাসের লোকজন হামলা ও ভাংচুর করে। আমার সাথে কিসের শত্রুতা জানিনা।' এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান।
সাবেক ছাত্রনেতা ও নাজিরপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির ছেলে ফয়সাল আহমেদ রনি জানান, 'আমরা কমিটির মিটিং দেখতে উপজেলা থেকে নাজিরপুর যাই। কিন্তু সমস্যার কারণে কমিটি স্থগিত করা হয়। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস কে মারধর করে। পরবর্তীতে উপজেলায় ফেরার পথে চান্দুয়াইল গ্রামে পলাশ বিশ্বাসের লোকজন তাদের মারধর করেন এবং তাদের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান তিনি।'
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১০/০২/২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এই বিভাগের আরও খবর