সেই ছাত্রলীগ নেতাকে এবার হল থেকে বহিষ্কার
ঢাকা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনের পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর ও দাড়ি ছেঁড়ার কারণে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত হোসাইন অভি।
বৃহস্পতিবার হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হল ছাত্রলীগের পদ থেকেও বহিষ্কার হন তিনি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বকেয়া টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসেনকে মারধর করে তার দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেন অভি। এ সময় ক্যান্টিনের ম্যানেজার মো. মনিরকেও মারধর করেন তিনি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ক্যান্টিন মালিক সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। সে তদন্তে এই বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা দোষী প্রমাণিত হন।
হলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক দুপুর ১.৩০ মিনিটে আপনি ক্যান্টিনে যেয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাকি খাতায় লিখে রাখতে বলেন। এ সময় ক্যান্টিনের ক্যাটারার মো. ফাহিম আপনার নিকট পূর্বের বাকি ২ হাজার ৬৫০ টাকা চাওয়ায় আপনি পরে পরিশোধ করবেন বলে জানান।
ক্যান্টিনের ক্যাটারার তার ম্যানেজারকে বলে পরবর্তীতে আপনাকে আর বাকি খাবার না দিতে। এতে আপনি মেজাজ হারিয়ে ফাহিমের কলার চেপে ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং চর থাপ্পড় দেন। এক পর্যায়ে আপনি ফাহিমের শার্টের কলার এবং দাঁড়ি ছিড়ে ফেলেন। ছাত্ররা আপনাদের দুজনকে আলাদা করে দিলে আপনি পরবর্তীতে ফাহিমকে ডেকে নিয়ে শাসান এবং এই ঘটনা নিয়ে কোনোরূপ বাড়াবাড়ি না করতে বলেন।’
দোষী প্রমাণিত উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ‘উপরোক্ত ঘটনায় ক্যান্টিন ক্যাটারারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রদত্ত রিপোর্টে ও সকল সাক্ষ্য-প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে আপনি দোষী হিসেবে প্রমাণিত। এছাড়া গত ২০২১ সালের বিএ (সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং এমএ শ্রেণিতে ভর্তি না হওয়ায় বর্তমানে আপনার ছাত্রত্বও নেই, তথাপি আপনি হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন।’
হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন, মর্যাদা ও আইনের পরিপন্থি। উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার (বিশেষ দ্বৈতাবাসিক কক্ষ নং- ১৭৯) বরাদ্দকৃত সিট বাতিলসহ আগামী ২৩-০২-২০২৪ তারিখের মধ্যে আপনাকে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হল। ভবিষ্যতে আপনাকে হলে অবস্থান করতে দেখা গেলে আপনার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শিবা/জামান/২৩.০২.২৪