সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি
নিউজ ডেস্ক।।
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র প্রায়ই গণমাধ্যমে উঠে আসে। গতকাল আমাদের সময়ের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে জাল সিল-স্বাক্ষরের কথা উঠে আসে। উদ্বেগের বিষয় হলো, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সিল-স্বাক্ষর জাল, ভুয়া আমদানি নথি উপস্থাপনের মাধ্যমে পণ্য খালাস নিয়ে যাচ্ছে একাধিক জালিয়াতচক্র।
এতে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছেন। অস্বীকার করার উপায় নেই, এই অভিযোগ বহু পুরনো। প্রায় সব ঘটনায়ই থাকে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশ। মাঝে মধ্যে সে চেষ্টা প্রতিহত করলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তেমন তৎপরতা নেই সংস্থা দুটিতে। ফলে নানা উদ্যোগের পরও রহস্যজনক কারণে থামছে না সিঅ্যান্ডএফ মালিকদের এই জালিয়াতি কারবার।
বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, বন্দরের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। ধর্মঘট হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে অনেক অসাধু কর্মকর্তা হাতেনাতে ধরাও পড়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ খুবই কম। এর প্রধান কারণ দুর্নীতি-অনিয়ম অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।
মনে রাখতে হবে, বিষয়টির সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির প্রশ্ন জড়িত। কাজেই বন্দরসংশ্লিষ্ট জালিয়াতি-দুর্নীতি রোধ করতে হবে যে কোনো উপায়ে। জাল সিল-স্বাক্ষরের বিষয়টির অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে দেশের সব বন্দরেই।
বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের কারণে দিন দিন এগুলোর গুরুত্ব বাড়ছে। কাজেই আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় বন্দরগুলোয় সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে পড়েছে।