সুবর্ণচরে সহকারী শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত
নিউজ ডেস্ক।।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরস্থ চর হাসান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মোস্তফা, ও তার স্ত্রী মর্জিনা আকতার, সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় দাসকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে মুখমন্ডল রক্তাক্ত করে। ৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ মোস্তফা ও তার স্ত্রী বিদ্যালয়ে এসে ২ ঘটিকায় বিদ্যালয় থেকে প্রস্থান করে, ৪ জানুয়ারি ২০২২খ্রিঃ বিদ্যালয়ে না এসে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ।
তারা প্রায়ই এ ধরনের অনৈতিক কাজ করেন। তার অনুপস্থিতিহেতু সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আজিজুর রহমান ৪ জানুয়ারী ২০২২ তারিখ বিদ্যালয়ে না আসায় অনুপস্থিত করে দেন। সেই প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় দাসেকে দোষী করে তার উপর অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয় হামলায় লিপ্ত হয়। লাঞ্ছিত শিক্ষক ইতোমধ্যে স্থানীয় চরজব্বর থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয় বিদ্যালয়সহ লোকালয়ে চরম বিশৃঙ্খলা করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। মোঃ মোস্তফা ২০১০ খ্রি ১৬ জুন চরজব্বর থানা সংলগ্ন ব্যাংকার মৃত মফিজ উদ্দিনের বাড়িতে মেহমান হিসেবে গিয়ে মোবাইল চুরি করে, পরবর্তীতে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হয়।
সে ২০১১ খ্রিঃ জুলাই মাসে রাত্রিকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের স্টিলের আলমারি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় ভূইয়ার হাট বাজারে মানুষজন আটকিয়ে রাখেন। পরবর্তী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসা করেন। উক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মৃত হোসাইন আহাম্মদের গায়েও হাত তুলেছিলেন। তিনি ও তা স্ত্রী বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেন না, প্রধান শিক্ষকের দেয় নির্দেশনা মানেন না। বিদ্যালয়ে না এসেও স্বাক্ষর করে ফেলেন।
বিদ্যালয়ে আসলেও নিজেদের ইচ্ছামত থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। মোস্তফা ও মর্জিনা আকতার পারিবারিক জীবনে খুবই খারাপ লোক। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় ও আদালতে বিভিন্ন মামলা চলমান। উল্লেখ্য মর্জিনা বেগম চাটখিল উপজেলা খিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ খ্রিঃ এ বিদ্যালয়ে যোগদান করার পূর্বে নোয়াখালীস্থ চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারনে স্থানীয় ভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছিলো অবগত হওয়া যায়।
এ মর্জিনা বেগমই সে বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় অবৈধভাবে মিথ্যা চিকিৎসা সনদ দিয়ে মাতৃত্ব ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের তদন্তে প্রমাণিত হয়। মোস্তফা তার স্ত্রীর ভাইয়ের স্ত্রীর ভূয়া তালাকনামা নিজে তৈরি করে তালাক দেয়ায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে মর্মে জানা যায়।
সংঘটিত বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভাস্কর বিজয় দাসের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যাতা স্বীকার করেন তিনি বলেন অভিযুক্ত শিক্ষক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিদর্শিত কাজকর্ম সময়মত করে না। প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী শিক্ষক আবদুস সহিদ বলেন আমি উপস্থিত না থাকলে অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার স্ত্রী কর্তৃক লাঞ্ছিত শিক্ষকের বড় কোন ক্ষতিও হয়ে যেতো।
উক্ত বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল করিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন লাঞ্ছিত শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিষয়টি অবগত করিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, নোয়াখালীর সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।