সিরিজ জয়ে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। জয়ে ফেরা বাংলাদেশের লক্ষ্য এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করা। আজ গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। খেলা দেখাবে টি স্পোর্টিস। রোববার বৃষ্টিবিঘিœত ৪১ ওভারের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে বাংলাদেশ ৩১.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে জয় নিশ্চিত করে।
টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। টি-২০ সিরিজে ২-০-তে পরাজিত বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জিতে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। এই ফরম্যাট শুরু করেই জয়ের দেখা পায় বর্তমানে ওয়ানডে ফরম্যাটে বিশে^র সেরা দলগুলোর একটি বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম জয়টি ছিল বাংলাদেশ দলের টানা নবম ওয়ানডে জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ী হলে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের টানা ম্যাচ জয়ের সংখ্যা দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছবে। বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো ওয়ানডে হারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দীর্ঘ সময়ে টানা আটটি ওয়ানডে জিতেছে। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৪২টি ওয়ানডে খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। জয় ১৯টিতে, পরাজিত ২১টিতে। দু’টি পরিত্যক্ত। দু’বারের বিশ^চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর ভালো সুযোগ এই সিরিজে বাংলাদেশের সামনে।
এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৪ ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৯৫টি ওয়ানডে খেলেছে। জয় ১৪১টি, পরাজয় ২৪৭টি এবং সাতটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এগিয়ে থাকলেও হাল ছাড়তে রাজি নয় তার দল। বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডেতে বেশ কয়েকটি ক্যাচ ড্রপ করেছে। আর এই মিসের ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচ জিতেছি, দলের পারফরম্যান্সের উন্নতির জায়গা রয়েছে। আমরা যদি আরো বড় দলের বিপক্ষে সত্যিকারের কন্ডিশনে খেলি, তবে এই ড্রপ হওয়া ক্যাচগুলো অনেক ভোগাবে। আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে, না হলে বড় টুর্নামেন্ট জয় করা কঠিন হবে।’ যোগ করেন, ‘আমাদের আরো উন্নতি করতে হবে। বোলিং-ব্যাটিং নিয়ে খুশি। যদি চারটি ক্যাচ না ফেলতাম তাহলে আমরা ১১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারতাম।’
গায়ানায় বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে হোম কন্ডিশনের মতো উইকেট পেয়েছে। উইকেট ছিল ধীরগতির। নিজেদের মতো লাইন-লেন্থ বজায় রেখে বল করেছে টাইগাররা।
স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন শরিফুল ইসলাম। ৩৪ রানে ৪ উইকেট। অভিষেকে উইকেট না পেলেও স্পিনার নাসুম আহমেদ ৮ ওভার বোলিং করে ১৬ রান দেন। ৩ মেডেন ছিল তার বোলিং বিশ্লেষণে। তার বোলিং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের দারুণভাবে চেপে ধরে। গায়ানার উইকেট ধীরগতির। পরের দুই ম্যাচও এই ভেনুতেই, যা বাংলাদেশের জন্য আনন্দের।