সিঁকি বোনাসের জগদ্দল পাথরের অবসান চাই
বেসরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনের ২৫% উৎসব ভাতা দেয়ার রেওয়াজ চালু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে। এ ভাতাকে শতভাগে পরিণত করার দাবি দীর্ঘ দিনের। নানা আন্দোলন সংগ্রাম করেও সেই ২৫% উৎসব ভাতার জগদ্দল পাথরকে কোনো ভাবেই সরাতে পারছেন না বেসরকারি শিক্ষকরা।
বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন ধরে শতভাগ উৎসব ভাতা দাবি করে আসছেন। ১৩ টি শিক্ষক কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত "শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি" নানা কর্মসূচী পালন করে আসছে। মানববন্ধন, স্মারক লিপি প্রদান, অবস্থান ধর্মঘটও পালন করেছে তারা। এমনকি ৬ জন সম্মানিত সাংসদ শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিটি মহান সংসদেও উপস্থাপন করেছেন। আশ্চর্য জনক হলেও সত্য যে, এত কিছুর পরও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে সামান্যতম আশ্বাস বাণীটুকুও শোনান নি।
১৮ বছরে কত ঈদ গত হয়ে গেলো। এতগুলো বছরে যুগ ও কালের কত কি পরিবর্তন হলো। পরিবর্তন হলোনা শুধু বেসরকারি শিক্ষকদের উৎসব ভাতার। খন্ডিত উৎসব ভাতা কোনো দেশের শিক্ষকদের দেয়া হয় কিনা জানি না। তবে ২৫% উৎসব ভাতা দেয়া জাতি গড়ার কারিগরদের জন্য অশোভনীয়।
বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও শিক্ষা খাতের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তবে সেটা প্রত্যাশার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তারপরও বেসরকারি শিক্ষকরা মনে করেন, শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার জন্য বাড়তি যে কয়টি টাকা লাগে তা বর্তমান সরকারের কাছে তেমন কোনো বিষয় ই না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের মতো ২০% বৈশাখী ভাতা চালু করেছেন। এর জন্য কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়নি।
তাই বেসরকারি শিক্ষকরা মনে করেন, শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়া বর্তমান সরকারের কাছে কোনো ব্যাপারই না। বিষয়টির প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লেখক -
মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন
যুগ্ন মহাসচিব,
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম।