সর্বোচ্চ সংখ্যক বই পেলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
এস এম মোজতাহীদ প্লাবন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত চাহিদা তালিকা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। ১৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ১ শত ৭৮ টাকা প্রাক্কলন ব্যয়ে ৬ অনুষদভুক্ত ২৪টি বিভাগের জন্য কেনা হয়েছে ২৮০৯টি একাডেমিক সম্পর্কিত বই।
শিক্ষক সমিতি, নজরুল ইন্সটিটিউট, পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুসারে ক্রয়কৃত এই বইগুলো এখন বুকসেল্ফে সংযোজনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিউজিল্যান্ডভিত্তিক কোহা সফটওয়্যারের মাধ্যমে চলছে বইগুলোর উপাত্ত লিপিবদ্ধকরণের কাজ। জানা গেছে ডেটাবেজে সংযোজন, সিল, নম্বরিং ও ক্যাটালগিং শেষে আগামী ২ মাসের মধ্যে গ্রন্থাগারের বুকসেল্ফে সংযোজন করা হবে বইগুলো। সব মিলিয়ে ৩৭ হাজার বইয়ের সমৃদ্ধ লাইব্রেরি পেলো নজরুলিয়ানরা।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক বই যুক্ত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, ''শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা শেষে এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো সংবাদ। মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে স্যার যে মূলনীতি গুলো নিয়ে এগোচ্ছেন তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য দুটি শিক্ষা ও গবেষণা, এই পদক্ষেপে তা আরো বেগবান হবে বলে আমি মনে করি। তবে শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরীমুখী করতে এবং লাইব্রেরীর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যে আরো বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কাম্য। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য লাইব্রেরীর সময়সীমা বৃদ্ধি, লাইব্রেরী কার্ডের মাধ্যমে বই আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং ডিজিটালাইজেশন করা।''
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ গবেষক জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নুরুজ্জামান খান বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারকে সমৃদ্ধ করতে উপাচার্য স্যারের এই উদ্যোগ নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। গ্রন্থাগার শুধুমাত্র বই দিয়ে সমৃদ্ধ করলেই হবে না নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। শিক্ষার্থীদেরকে বলবো শুধুমাত্র সফটকপি নির্ভরশীল না হয়ে হার্ড কপিও পড়তে হবে। এতে জ্ঞানের পরিধি আরো গভীর হবে। সেই সাথে একাডেমিক বইগুলো পড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সাহিত্য নির্ভর বইগুলোও পড়তে হবে।"
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "গ্রন্থাগারের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে গ্রন্থাগারের বই রেফার করতে হবে। শীট বা নোট নির্ভর না হয়ে মূল বইয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে হবে।"
গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. জালাল উদ্দীন বলেন, "একটি দেশ কতটুকু উন্নত সেটা বোঝা যায় সেই দেশের লাইব্রেরি দেখে। এবার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাহিদা তালিকা অনুসারে আমাদের গ্রন্থাগারে ২৮০৯টি একাডেমিক সম্পর্কিত বই যুক্ত হলো। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৭ হাজার বই আছে। আমরা ই-লাইব্রেরীর ধারণা নিয়ে আগাচ্ছি। সেই লক্ষ্যে সমস্ত বইয়ের ডেটাবেজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে চলমান ওয়াইফাই রাউটার পরিবর্তন করে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের জন্য প্রশাসনের কাছে রাউটারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চেয়েছি। আশা করি খুব শীঘ্রই সেটির বাস্তবায়ন দেখতে পাবে শিক্ষার্থীরা।"
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৭/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়