সব ধরণের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক
নিউজ ডেস্ক।।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দীর্ঘ প্রায় ৬৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মাওয়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটেও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পুনরায় এ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক সার্জেন্ট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। নদী এখন শান্ত রয়েছে। ইয়াসের প্রভাবে এ রুটে ব্যাহত হয়েছে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল। লঞ্চ ও ফেরি দুটিই স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে মাওয়া শিমুলিয়া- বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে একই রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
শুক্রবার বেলা ১০টা থেকে এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া লঞ্চঘাট পরিদর্শক মো: সোলেমান।
তিনি বলেন, বৈরি আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় নৌরুটে আবারো লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ৮৫টি লঞ্চ সচল রয়েছে। নিয়ম মেনে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা যাওয়া করছে।
শিমুলিয়া লঞ্চঘাট পরিদর্শক মো: সোলেমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে চালু হয় ফেরি চলাচল। নৌচলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী ও যানবাহন পর্যায়ক্রমে নদী পার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, রাতে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল শুরু করে। নদীর ঢেউ ও ঝড়ো হওয়া কেটে গেছে। বর্তমানে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নৌরুটে বহরে থাকা ১৮টি ফেরির মধ্যে ১৪টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে লঞ্চ ও বুধবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়। টানা দুই দিন নৌচলাচল বন্ধ থাকায় পদ্মায় পারাপারের অপেক্ষায় শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ দেখা দেয়।