সন্ধ্যার পর তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থীরা ঘরের বাইরে থাকতে পারবে না
নিজস্ব প্রতিনিধি।।
সন্ধা ৭টার পর অভিভাবক ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী বাইরে বের হতে পারবে না, আর চায়ের দোকানগুলোতে কোনো টিভি থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, বর্তমান দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতি, কিশোর গ্যাং তৈরি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সন্ধ্যা ৭টার পরে কোনো শিক্ষার্থী বা উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তাহলে অভিভাবকের সাথে বের হতে পারবে।
সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রাকিবুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মোল্লা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএম আতাউর রহমান, ফাহিমা আক্তার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইলিয়াস পাশা, প্রেস ক্লাব সভাপতি একেএম নাসিরুল হক, প্রেস ক্লাব ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা দেখি বিভিন্ন চায়ের দোকানে অধিক রাত পর্যন্ত টিভি চলে। আর সেই সাথে দোকানগুলোতে জমে ওঠে আড্ডা। এই আড্ডাতে দেখা যায় বয়স্কদের চেয়ে তরুণ ও উঠতি বয়সের যুবকরাই বেশি। চায়ের দোকানে টিভি দেখে চা পান করতে করতে শিক্ষার্থীরা অধিক রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরেই সময় পার করে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অধিক রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে জুয়া খেলাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া যারা বয়স্ক লোক রয়েছে তারাও কিন্তু অধিক রাতে বাড়ি ফেরার কারণে নিজের সন্তানের লেখাপড়ার কোনো খোঁজখবর নিতে পারছে না। তাই পৌরসভার মধ্যে রাত ১০টা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রাত ৯টার মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ করতে হবে।