সংক্রমণ বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করছে শিক্ষা প্রশাসন
নিউজ ডেস্ক।।
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে শিক্ষা প্রশাসন। এ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা কিংবা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখনো ক্লাসে শিক্ষার্থী সংক্রমিত হওয়ার তথ্য নেই। গত বছর করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে আসায় গত সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। বছরের শেষ দিকে নেওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষাও। সম্প্রতি ফের সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সবাই। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের ভাবনা প্রসঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের হার বাড়েনি। এটি (১১.৬৮ শতাংশ) জাতীয় হার। আমরা জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে গত রবিবার রাতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা। সে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানিয়ে পরদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ হবে না। শিক্ষা কার্যক্রম যেভাবে চলছে, সেভাবে চলবে। আগামী সাত দিন পর আবার করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক হবে। তখন কমিটি যদি মনে করে বন্ধ করা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেহেতু টিকা দেওয়া হয়ে যাচ্ছে সেহেতু সমস্যা হবে না।
দীপু মনি জানিয়েছিলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয়ের প্রমাণ দিলেই টিকা মিলবে। ১২ জানুয়ারির মধ্যে যারা এক ডোজ টিকা নিয়েছে, তারাই শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে পারবে। ১২ জানুয়ারির মধ্যে যারা এক ডোজ টিকা নিয়েছে, তারা শুধু শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে আসবে। অন্যরা আপাতত অনলাইন বা টেলিভিশনে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবে। সবার অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়া হলে তার পর থেকে তারা সশরীর ক্লাস করতে পারবে।
নতুন বছরে সময়সূচি অনুযায়ী ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে প্রতিদিন চারটি বিষয়ের ওপর ক্লাস নেওয়া হয়। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে প্রতিদিন তিনটি বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে। অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে এক দিন তিনটি বিষয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকের শ্রেুণিগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন এবং অন্য শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে একদিন করে নেওয়া হচ্ছে।