শ্রেণিকক্ষের সংকটে কলেজের বারান্দায় চলে পাঠদান
নিউজ ডেস্ক।।
উচ্চ মাধ্যমিকের দুই বর্ষ মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫০ জনের বেশি। এসব শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য কলেজটিতে রয়েছে টিনের দোচালা ছাউনির তিনটি কক্ষ। ছোট কক্ষগুলোতে জায়গা না হওয়ায় বারান্দায় চলে পাঠদান। শুধু শ্রেণিকক্ষ নয়, সংকট রয়েছে অফিসকক্ষেরও। এ চিত্র গুরুদাসপুর পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এন্ড বিএম ইনস্টিটিউটের।
শিক্ষকরা জানান, কলেজটি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও ২০২০ সালে জাতীয়করণ হয়। এরপর থেকেই স্থানীয়দের কাছে কলেজটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন হওয়ায় প্রতি বছরই উপজেলা শহরের সরকারি এই কলেজটিতে বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। অথচ টিনের ছাউনি, টিনের বেড়ার ছয়টি জীর্ণ কক্ষের তিনটিতে চলে পাঠদান। একটি কক্ষে রয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং দুটি কক্ষে চলে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
কলেজসূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত কলেজটিতে ১২টি ব্যাচ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বেরিয়েছে। ফলাফল ভালো হওয়ায় গুরুদাসপুর উপজেলা ছাড়াও বড়াইগ্রাম, সিংড়া, চাটমোহর ও তাড়াশ উপজেলার অনেক শিক্ষার্থী এই কলেজে ভর্তি হচ্ছে। কলেজটির ভৌগোলিক অবস্থা, ফলাফল এবং শিক্ষার্থী বিবেচনায় আধুনিক ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। কলেজটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান, ছাকিম, বিলকিছসহ অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী জানায়, সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা।
একারণে নিয়মিত তারা কলেজে আসছে। আগে আসলে টিনের শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে জায়গা পাওয়া যায়। কিন্তু একটু দেরি হলেই বসতে হয় বারান্দায়। রোদ-গরম আর হই-হুল্লোড়ে লেখাপড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়। তারা কলেজে ভবন নির্মাণের দাবি জানান।
কলেজটির অধ্যক্ষ সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, সাড়ে ৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী তার কলেজে অধ্যয়ন করছে। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ৪৫ জন। অথচ প্রয়োজনীয় বেঞ্চ, শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ায় আত্তীকরণের জন্য ২০২২ সালের দিকে কলেজের সবকিছু সরকারকে দিয়েছেন। কিন্তু হয়নি অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে কলেজে চার তলার একটি ভবন বরাদ্দ এসেছিল। কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। কলেজের সভাপতি ও গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শ্রাবণী রায় বলেন, সংকট নিরসনের জন্য ভবন বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে।