শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেবের বিরুদ্ধে ইভটিজিং ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করা হয়েছে। শহরের পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের এক শিক্ষিকা বাদী হয়ে ওই জিডি করেন।
অভিযোগকারী শিক্ষিকাকে জিডিতে উল্লেখ করে জানান, গত বুধবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ দফা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মশালায় শহরের বিদ্যানিকেতনের একজন পুরুষ ও একজন নারী শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। একপর্যায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব নারী শিক্ষিকার পাশের চেয়ারে বসে নানান রকম কু-প্রস্তাব দেন। এসময় ওই কর্মকর্তা তার অফিস কক্ষে যাওয়ার জন্য প্রলোভন দেন এবং ৪০ ঊর্ধ্ব বয়সের একজন লোককে দেখিয়ে বলেন, তাকে বিয়ে করার জন্য। একসময় শিক্ষিকার দুপুরের খাবার পিয়নের মাধ্যমে তার অফিস কক্ষে নিয়ে যান এবং সেখানে যাওয়ার জন্য তাকে বলেন। নারী শিক্ষিকা আবু তালেবের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠান শেষ না করেই চলে আসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি ওই শিক্ষিকা বিদ্যানিকেতন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালে তার সহকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজকে জানালে তারা আবু তালেবের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা বলেন, একজন নারী শিক্ষককে একজন সরকারি কর্মকর্তা এভাবে হয়রানি ও অপমান করার জন্য আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, প্রশাসন যদি তিন দিনের মধ্যে আবু তালেবের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আমরা মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করবো।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন জানান, তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নারী শিক্ষককে লাঞ্ছনা করার বিষয়টি জেনেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) রিয়াজুল হক জানান, ভুক্তভোগী নারী শিক্ষক থানায় এসে জিডি করেছেন। এসআই (তদন্ত) তারিকুল ইসলামকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।