শিক্ষায় স্বল্প বাজেট থামছেই না
ফিরোজ আলম:
একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে দেশের কোন খাতে কোথায় কত ব্যয় হবে, সরকারের এই আর্থিক পরিকল্পনার রুপরেখা বাস্তবায়িত হয় বাজেটের মাধ্যমে। এদেশের প্রথম বাজেট থেকে শুরু করে এ বছর পর্যন্ত যতগুলি বাজেট ঘোষিত হয়েছে ,প্রত্যেকটা বাজেটের আকার টাকার অংকে বেড়েছে কিন্তু আনুপাতিক হারে কমেছে।
"উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা"শিরোনামে ১লা জুন ২০২৩ ঘোষিত হয়েছে এবারের বাজেট।আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশে' মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার এমন স্বপ্ন নিয়ে, ৭.৫% প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা আর ৬% মূল্যস্ফীতির সমস্যা সামনে রেখে বর্তমান বাজেটের চেয়ে ১২ দশমিক ৩/৪ শতাংশ বড় এই বাজেটটি ঘোষিত হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম, সরকারের তিন মেয়াদের টানা ১৫তম এবং সরকারের বর্তমান মেয়াদে পঞ্চম ,বর্তমান অর্থমন্ত্রীর ৫ম তম ও আগামী নির্বাচনের আগে সরকারের শেষ বাজেট ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট
উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল । ঘোষিত বাজেটে সরকার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ যা গত অর্থ বছরে ও তাই ছিল। এবং মূল্যস্ফীতির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৬ শতাংশ যা গত অর্থ বছরে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।বাজেটে প্রাধান্য পেয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ ও কর্মসংস্থানসহ বেশ কিছু খাত।তবে শিক্ষাখাত অবহেলিত ই রয়ে গেল।আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের শিক্ষা খাত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশ বা বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ পেলে তা আদর্শ ধরা হয়।অথচ ২০২৩-২৪ আগামী অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ ।২০২২-২৩ সালে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট বাজেটের প্রায় ১১.৯৪ শতাংশ।যা গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে ছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট বাজেটের প্রায় ১১.৯১ শতাংশ ।এবারের শিক্ষা বাজেট গত অর্থ বছরের তুলনায় টাকার অংকে মোট ৭ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে যা আনুপাতিক হারে ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ০.৪৭ শতাংশ কমেছে।২০২৩-২৪সালের এই বাজেট ২০১৬/১৭ বাজেটের তুলনায় ২.৪৮ শতাংশ ও ২০১৭/১৮ বাজেটের তুলনায় ০.৮০ শতাংশ কমেছে এবং ২০২২-২৩ বাজেটের তুলনায় ০.৪৭ শতাংশ কমেছে।
এবারের বাজেটে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে তা হল-আর্থিক খাতের ব্যবস্থাপনা,ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এবং বৈদেশিক মুদ্রা,রাজস্ব আদায় ও আয়-ব্যয়ের ঘাটতি কমিয়ে আনা,মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা,জনতুষ্টি আর অর্থনীতি রক্ষার মধ্যে সমন্বয় করা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা গত ২০২২-২৩ সালে ৩১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা ছিল এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে ছিল ২৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা গত ২০২২-২৩ সালে ৩৯ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা ছিল এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে ছিল ৩৬ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে যা গত ২০২২-২৩ সালে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা ছিল এবং গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে ছিল ৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
গত চৌদ্দ বছরের শিক্ষা বাজেট বিশ্লেষনে দেখা যায় 2011-2012 সালে মোট বাজেট ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ১৯৮১০ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১২.১১শতাংশ, 2012-2013সালে মোট বাজেট ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮কোটি টাকা তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ২১৪১৭ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১১.১৭শতাংশ, 2013-2014সালে মোট বাজেট ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ২৫০৯৬ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১১.২৮শতাংশ 2014-2015সালে মোট বাজেট ছিল ২লাখ ৫০ হাজার ৫০৬কোটি টাকা তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ২৯২০৮ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১১.৬৬শতাংশ, 2015-2016 সালে মোট বাজেট ছিল ২লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ৩১৬০৫ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১০.৭১শতাংশ, 2016-2017 সালে মোট বাজেট ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ৪৯০১২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১৪.৩৯শতাংশ,এটিই গত দশ বছরে আনুপাতিক হারে সর্বচ্চো শিক্ষা বাজেট । 2017-2018সালে মোট বাজেট ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ,তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ৫০৪৩৩ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১২.৬৬শতাংশ।2018-2019সালে মোট বাজেট ছিল ৪লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩কোটি টাকা, তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ৫৩০৫৪ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১১.৫৩শতাংশ, 2019-2020সালে মোট বাজেট ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০কোটি টাকা, তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ৬১১১৮ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১১.৭৪শতাংশ।
2020-2021সালে মোট বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ৬৬৪০১কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১১.৬৯ শতাংশ।
2021-2022 সালে মোট বাজেট ৬ লাখ তিন হাজার ছয় শত একাশি (৬০৩৬৮১) কোটি টাকা, তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে একাত্তর হাজার নয় শত পঞ্চান্ন কোটি টাকা (৭১৯৫৫) টাকা যা মোট বাজেটের ১১.৯১ শতাংশ।
2022-202 3সালে মোট বাজেট ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা (৬০৭৮৬৪) কোটি টাকা, তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে একাশি হাজার চারশত ঊনপঞ্চাশ কোটি টাকা (৮১৪৪৯) টাকা যা মোট বাজেটের প্রায় ১১.৯৪ শতাংশ।2023-2024 সালে মোট বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যার মধ্যে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এবারের বাজেটে মাদ্রাসা ও কারিগরি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১.৪০ শতাংশ এবং মোট শিক্ষা বাজেটের ৯.৯ শতাংশ।যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৯৭২৭ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১.৫৯ শতাংশ এবং মোট শিক্ষা বাজেটের ১২ শতাংশ। যা গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে ছিল ৯১৫৩ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ১.৫১ শতাংশ এবং মোট শিক্ষা বাজেটের ১২.৭২ শতাংশ।
বাজেটে তুলনামূলকভাবে কারিগরি ও মাদ্রাসায় বরাদ্দ কম ই রাখা হয়েছে।আর মাদ্রাসার বরাদ্দতো তো সর্বনিন্ম। যা মাদ্রাসার টেকসই,গুনগত ও মান সম্মত শিক্ষার প্রসারে এবং মানোন্নয়নে প্রধান বাধা হবে সন্দেহ নাই।এবারের বাজেটে শিক্ষাখাত চরম মাত্রায় উপেক্ষিত হয়েছে সন্দেহ নাই।যার ফলে সরকারি শিক্ষকদের প্রত্যাশা এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কাঙ্খিত জাতীয়করন,যত্নে লালিত শতভাগ উৎসব ভাতার স্বপ্ন,সন্মানজনক বাড়ি ভাড়ার প্রত্যাশা,উপযুক্ত চিকিৎসা ভাতা,পেনশন ভাতা সহ ন্যায্য অধিকারের লাভের পথ বন্ধই হয়ে গেল।সাথে সাথে শিক্ষা নিয়ে সরকারের সূদূরপ্রসারী দীর্ঘ মেয়াদি ভাবনা,পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ যে লোক দেখানো তা স্পস্ট হল।
সাধারণত ইউনেস্কো প্রেসক্রাইব করে যে, সুন্দর-শিক্ষিত একটা দেশ গড়ার জন্য বাজেটে জিডিপির ন্যূনতম ৬ শতাংশ কিংবা বাজেটের ২০ শতাংশ
বরাদ্দ দেওয়া উচিত।অথচ এবারের বাজেটে যা ১.৭৬ শতাংশ যা গত বাজেটে ছিল ১.৮৩ শতাংশ।পৃথিবীতে এমন একটা দেশের উদাহরণ পাওয়া যাবে না, যারা জিডিপির ৪ শতাংশের নিচে বরাদ্দ রেখে শিক্ষায় উন্নত হয়েছে। সারা বিশ্বে গবেষণা ও উন্নয়ন নামে আলাদা একটা খাত আছে। যা শিক্ষা খাতের বাইরে। বিশ্বে ১২৫টার মতো দেশ আছে যারা এই খাতে প্রতি বছর অন্তত এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। দেখা গেছে এই খাতে যারা যত বেশি ব্যয় করে, তারা তত বেশি উন্নত। সেই তালিকায় নেপাল আছে। কিন্তু বাংলাদেশ নাই। কারণ এই খাতে আমাদের কোনো বরাদ্দই রাখা হয় না।’
শিক্ষা খাতে সাড়া ও আশাজাগানিয়া বাজেট ও বিনিয়োগের কৃপনতার কারনে প্রবৃদ্ধির আশাজাগানিয়া উন্নতির সুফল দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়া যে সম্ভব হবেনা তা এবারের শিক্ষা বাজেট থেকে স্পস্ট হয়েছে।কিছু মানুষ কথায় ভারতের উদাহরন নিয়ে আসে।মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা নাকি ভারতের থেকে উন্নত। তাহলে অন্তত ভারতে শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দটা দেওয়া হয়, সেটাই আমাদের দেওয়া হোক। যদিও ভারতেও বরাদ্দ অপ্রতুল।’চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এবং স্মার্ট বাংলাদেশের আজকের এই সময়ে দক্ষ ও সৃজনশীল জনবল অপরিহার্য।অথচ এবারের শিক্ষা বাজেট এখানেই ব্যর্থ। আজকের বাংলাদেশে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত,নৈতিক শিক্ষায় বলিয়ান, দক্ষ, কর্মঠ,সৃজনশীল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী চেতনার এমন মানবসম্পদ সৃষ্টি করা, যারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে এদেশের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারবে।কিন্তু এবারের ২০২৩/২০২৪ অর্থ বাজেটে শিক্ষা খাতে যে হারে বরাদ্দ রেখেছে তাতে লালিত স্বপ্নের ফলাফল অর্জন স্বপ্নেই থেকে যাবে।বছরের পর বছর শিক্ষা খাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ রাখার ফলাফল হিসেবে বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে (নলেজ ইনডেক্স) আমরা হতবাক হয়ে দেখেছি যে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। আমাদের ওপরে নেপাল, দেউলিয়া ঘোষিত শ্রীলঙ্কা, ভূটান, ভারত, অস্থির-উত্তাল পাকিস্তান—সবাই। উচ্চ শিক্ষা খাত কিংবা প্রাথমিক শিক্ষার দিক থেকে আমাদের অবস্থান আরও নিচে। বছরের পর বছর শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম রেখে একটা বোকা জাতি বানানোর খেলা আমাদের এখনি বন্ধ করতে হবে।
তাই বলবে শিক্ষা বাজেট অনতিবিলম্বে পরিবর্তন করুন।টাকার অংকে বাজেট বেশি দেখিয়ে শিক্ষক সমাজকে তথা জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না,শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করবেন না।বরং মোট বাজেটের আনুপাতিক হারে জিডিপির ৬ শতাংশ কিংবা বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা বাজেটে বরাদ্দ রেখে শিক্ষকদের কাঙ্খিত জাতীয়করন,শতভাগ উৎসব ভাতা,সন্মানজনক বাড়ি ভাড়া,উপযুক্ত চিকিৎসা ভাতা,পেনশন ভাতা সহ ন্যায্য অধিকারের লাভের পথ উন্মুক্ত করুন। না হলে এদেশ ,এজাতি যেমনি জ্ঞানপাপী অধিকার হরনকারী শোষকদের ক্ষমা করবেনা,আইনেস্টাইনের যোগ্য উত্তসূরীদের বঞ্চনার কারনে তেমনি মেধা আর জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়বে পুরো বাংলাদেশ।
লেখক ও কলামিস্ট-
ফিরোজ আলম,বিভাগীয় প্রধান(অনার্স ও মাস্টার্স শাখা)।
আয়েশা( রা:) মহিলা কামিল(অনার্স,এম.এ) মাদ্রাসা, সদর,লক্ষীপুর।
মেম্বার কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটি,সাধারন সম্পাদক , লক্ষীপুর জেলা শাখা এবং সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি,বিএমজিটিএ।