‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা থাকা উচিত’
নিউজ ডেস্ক।।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা থাকা উচিত। অবশ্যই অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি সব শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক করোনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে কিনা’ এ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এতে বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এসএম মোর্শেদ, সাংবাদিক জিনিয়া কবির সূচনা, ফাল্গুনী রশীদ ও আতাউর রহমান কাবুল।
ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। গ্রাম পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম ও ভ্যাকসিন দেওয়া চালিয়ে যাওয়া উচিত। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এর আওতায় থাকবে ১২-১৮ বছরের বয়সিরাও। করোনায় আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা করা উচিত। সম্ভব হলে করোনা আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যায়ভার সরকার করতে পারলে ভালো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বেই ২ ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে পারলে ভালো হতো। তা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। সরকারের করোনা খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ও প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়নি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাশ নেওয়াসহ সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নের সক্ষমতা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেই। জানা গেছে, এ কারণে কোথাও কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ভয়ে কোভিড আক্রান্তের তথ্য গোপন করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দ্রুত করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থাসহ মনিটরিং জোরদার করা উচিত। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।