শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌ*ন হয়রানি দুর করা হোক
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ নম্বর সরাসরি শিক্ষকদের হাতে থাকে। ভাইভা, প্রাকটিক্যাল, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, থিসিস, ক্লাসে উপস্থিতি, আচরণ প্রভৃতি ক্যাটাগরিতে এই নম্বর দেয়া হয়। কোনো কোনো সাবজেক্টে এই নম্বর আরো বেশি থাকে। শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রী নির্যাতন, বিশেষ করে যৌন নির্যাতনের প্রধান অস্ত্র তাদের হাতে থাকা এই নম্বর। শিক্ষকরা ইচ্ছে করলে যাকে যেমনভাবে খুশি এই নম্বর প্রদান করতে পারেন।
এছাড়াও পরীক্ষার আগে শর্ট সাজেশন, অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্ন বলে দেয়া এবং খাতা দেখায় বিশেষ খাতির, স্কলারশিপ পেতে ভূমিকা রাখার মতো বিষয়গুলোও রয়েছে। এসব অস্ত্র কিছু কিছু শিক্ষক তার পছন্দের ও অপছন্দের ছাত্রছাত্রীর উপরে খুব সহজেই ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও তারা যে সমস্ত ছাত্রীকে টার্গেট করে, তাদের বশে আনতে এই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে থাকেন। এই বিপুল পরিমাণ ক্ষমতা শিক্ষকদের হাতে থাকার কারণে ছাত্রীরা অসহায় হয়ে বা বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের অনৈতিক প্রস্তাব ও আচরণ মুখ বুজে সহ্য করে। একজন শিক্ষক উল্লেখিত অস্ত্র ব্যবহার করে খুব সহজেই তার টার্গেটেড ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা জীবন ধ্বংসও করে দিতে পারেন।
শিক্ষকদের এক সময় বলা হত গুরু পিতার সমতুল্য, দ্বিতীয় পিতা প্রভৃতি। যুগ পাল্টে বর্তমান সময়ে এখন ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক বন্ধুত্বে এসে ঠেকেছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে ছাত্রী-শিক্ষক, ছাত্র-শিক্ষিকা পরস্পরের কোমর জড়িয়ে নাচছে। আমাদের সময় পিটি ক্লাস হতো শরীরচর্চার অংশ হিসেবে।
পিটি ক্লাসে বা এসেম্বলি শেষে শরীরচর্চার হালকা ব্যায়াম হতো। এখন পিটি ক্লাস নাচের ক্লাসে পরিণত হয়েছে। হালকা ব্যায়ামের পরিবর্তে এখন নাচের মুদ্রা শেখানো হয়। কোটি কোটি টাকা খরচ করে শিক্ষকদের বিদেশ থেকে দিয়ে নিয়ে এসে ছাত্রছাত্রীদের নাচ শেখানো হচ্ছে। বার্ষিক শিক্ষা সফর এখন বার্ষিক পিকনিকে পরিণত হয়েছে। ফলে এই সফরে শিক্ষার পরিবর্তে ডিজে পার্টি, মাদক সেবন, নাচ-গান যুক্ত হয়েছে।শ্রেণী মূল্যায়নের নামে শিক্ষকদের হাতে যে বিপুল ক্ষমতা । এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেন যৌন হয়রানি করতে না পারে সেই বিষয়ে কতৃপক্ষের দৃস্টি দিতে হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৭/০৩/২০২৪