শিক্ষাক্রম বাতিল চেয়ে গ্রেফতার ৪ জনের মুক্তি দাবিতে: ৪০ শিক্ষকের বিবৃতি
শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করায় গ্রেফতার চার শিক্ষক-অভিভাবকের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষক।
বিবৃতিতে শিক্ষকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে মতপ্রকাশ বা বিরুদ্ধমত দেওয়ার কারণে শিক্ষক-অভিভাবক-নাগরিকদের গ্রেফতারের তারা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিয়ে ও সব মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
জানা গেছে, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সমালোচনা ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৩ নভেম্বর ঢাকা থেকে তিনজন এবং টাঙ্গাইল থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- আবুল হাসনাত কবির (৫১), গোলাম রাব্বী (৩৭), জাহাঙ্গীর কবির ও কাজী পনির।
গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল থানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহকারী সচিব আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন>> শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা: গ্রেফতার চার শিক্ষক কারাগারে
এছাড়া মামলার অন্য আসামি মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর মা সুলতানা নাসরীন তাজ খান ওরফে তাপসী খান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
বিবৃতিদাতা ৪০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-গবেষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, যুক্তরাষ্ট্রের বার্ড কলেজের এক্সপেরিমেন্টাল হিউম্যানিটিজের ভিজিটিং প্রফেসর ফাহমিদুল হক, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের যোগাযোগ বিভাগের পিএইচডি গবেষক প্রিয়াংকা কুণ্ডু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেহরীন আতাউর খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক মিম আরাফাত মানব, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী সেহরীন ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মার্জিয়া রহমান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাক মোশাহিদা সুলতানা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী ফরিদ, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আরিফুজ্জামান রাজীব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান, ঢাবির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাসউদ ইমরান মান্নু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদ, যুক্তরাষ্ট্রের মিলওয়াকির উইস্কন্সিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সায়েমা খাতুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশরেকা অদিতি হক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, সহকারী অধ্যাপক সায়েমা অহমেদ, রুশাদ ফরিদী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত শর্মা, সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সৌম্য সরকার, ইউনিভারসিটি কলেজ কর্কের সোশিয়লজি অ্যান্ড ক্রিমিনলজির পিএইচডি গবেষক নাসরিন খন্দকার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়াহ তাবাসসুম সাদিয়া, অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের মেন্টাল হেলথের সার্ভেলেন্সের সিনিয়ার রিসার্চ ফেলো আশীক মোহাম্মদ শিমুল।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/১২/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়