শিক্ষক নিয়োগের নামে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
যশোরের মনিরামপুরের ঢাকুরিয়া কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে সাতজনের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডুর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তিনি ভুয়া নিয়োগপত্র সরবরাহ করেছেন বলে জানিয়েছেন এক চাকরিপ্রত্যাশী। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীদের পক্ষে মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনে গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডু গত বছর ইসলামের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যশোর সদর উপজেলার শাখারগাতী গ্রামের আবুল হোসেনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। তাকে এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
একইভাবে তিনি মাগুরা জেলার মৃগঙ্গ বিশ্বাসের কাছ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা নেন। মৃগঙ্গ বিশ্বাস ওই কলেজে সমাজকল্যাণ বিভাগে নিয়মিত ক্লাস নিলেও তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। ২০১১ সালে ঝিকরগাছা উপজেলার বিমল কুমার রায়কে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে তাঁর নামটি পাঠানো হয়নি।
১২ লাখ টাকার বিনিময়ে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। ২০১১ সালে তিনি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মাগুরার সঞ্জীবন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন। তাঁকেও নিয়োগপত্র দেননি। এ ছাড়া ইতিহাস বিভাগে একজন প্রভাষক ও চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী নিয়োগের নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা অধ্যক্ষের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী আবুল হোসেন জানান, বারবার চাপ দেওয়ার পর অধ্যক্ষ তাঁকে একটি নিয়োগপত্র সরবরাহ করেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের পর দেখা যায় সেটি ভুয়া। বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতিকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তবে অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুণ্ডু অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অভিযোগ করা শিক্ষকরা অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে গভর্নিং বডির সভাপতি অসিত মজুমদার রাম বলেন, অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। সুত্র সমকাল