শিক্ষকের প্রাইভেট কোচিংয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে শিক্ষার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝালকাঠিঃ স্কুলশিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষকদের প্রাইভেট শিক্ষা ব্যবস্থায় অসহায় অভিভাবকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল পোশাক পরেই শিক্ষকের প্রাইভেট কোচিং শেষে ঝাঁকে ঝাঁকে বের হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দেখে স্কুল মনে হলেও এটা আসলে একটা কোচিং। ১০-৩৫ জন করে ব্যাচে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলের শিক্ষকের বাসা অথবা কোচিং সেন্টারে তাদের পড়ানো হয়।
না প্রকাশ না করার শর্তে অসংখ্য অভিভাবক বলেছেন, স্কুলশিক্ষকদের কাছে কোচিং কিম্বা প্রাইভেট না পড়লে নানা অজুহাতে তাদের সন্তানদের হয়রানি করা হয়। এ কারণে বাধ্য হয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রাইভেটে দিতে হয়।
এদিকে লেখাপড়া যদি স্কুলশিক্ষকদের প্রাইভেট কোচিংয়েই হয়, তাহলে স্কুলের প্রয়োজন কি- এমন প্রশ্ন তুলেছেন ঝালকাঠি শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠক সুভাষ বিশ্বাস। তিনি বলেন, এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। শিক্ষকরা এখন অর্থের দিকে দৌঁড়াচ্ছেন, যেটা মোটেই কাম্য নয়।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বাসা কিম্বা কোচিং সেন্টারগুলোতে বসে এমন প্রাইভেট পাঠশালা। মাথাপিছু এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা নিয়ে ১০-৩৫ জনকে নিয়ে বিষয়ভিত্তিক ব্যাচে চলে পড়াশোনা।
দুটি স্কুলেই বিষয়ভিত্তিক সব শিক্ষক থাকলেও তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সব শিক্ষার্থীকে চার-পাঁচ বিষয় প্রাইভেট পড়তে হয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না বলে সরকারি বিধান থাকলেও কোনোভাবেই তা মানছেন না স্কুল দুটির শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, স্কুলের সময় সূচির বাইরে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো বেআইনি নয়। তবে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো কিংবা বাধ্য করাটা বেআইনি। এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝালকাঠির এ দুটি মাধ্যমিক স্কুলের দিবা ও প্রভাতী শাখায় মোট ৩৫০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২১/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়