শিক্ষকের কক্ষের তালা ‘ভাঙালেন’ আরেক শিক্ষক
কুষ্টিয়াঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডরমেটরিতে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ভুপেশ চন্দ্র রায়ের কক্ষের তালা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। এক কর্মচারীকে দিয়ে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এরশাদুল হক তালা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন এস্টেট অফিস।
গতকাল রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরির ৩০৩ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শামসুল ইসলাম জোহা বলেন, ড. এরশাদুল ইসলাম ওই কক্ষের তালা ভাঙতে পাঠিয়েছিলো মিজান নামে এক কর্মচারীকে। আমরা বিষয়টি শুনেছিলাম। পরে প্রো-ভিসি স্যার প্রক্টর এবং এস্টেটকে নির্দেশ দেন বিষয়টি সমাধানের জন্য। এরপর আমরা মিটিং করে কক্ষে সিলগালা করেছি। বিষয়টি সমাধান হলে কক্ষ খুলে দেয়া হবে। তাছাড়া আমরা মিজান নামে ওই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলে এরশাদ স্যার আমাকে পাঠিয়েছিলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. ভুপেশ চন্দ্র রায় বলেন, কক্ষে তালা লাগিয়ে আমি বাড়ি এসেছি। বিষয়টি আমি এক কর্মচারীর মাধ্যমে শুনেছি। পরে প্রো-ভিসি ও প্রক্টর মহোদয়কে অবগত করেছি। আমি পি এল আরে আছি। আমি আগামী সপ্তাহে ক্যাম্পাসে ডরমিটরির কক্ষ ছাড়তে এবং সবার কাছে বিদায় নিতে যাবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. এরশাদুল হক বলেন, আমি জানতামনা কক্ষটি ভুপেশ স্যারের কক্ষ। আমি শুনেছিলাম কক্ষটি ফাঁকা পড়ে আছে। তাছাড়া আমার ধৃষ্টতা নেই যে, যেখানে অন্য কেউ রয়েছে সেখানে কক্ষ ভেঙে ঢোকার। এছাড়া আমার জানামতে ডরমিটরি-২ এ অনেকেই কক্ষ ভেঙে ঢুকেছে, আর ওভাবেই রয়েছে। বিভাগের কাজ ছাড়া ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কাজ থাকায় আমার থাকতে একটু সমস্যা হচ্ছিলো বলে আমি আমাদের পিয়নকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম। অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, প্রো-ভিসি স্যার আমাকে বিষয়টি দেখতে বলেন। আমি এস্টেট প্রধান এবং এস্টেট অফিসের মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়ে যৌথভাবে মিটিং করেছি এবং পরে আমরা ওই কক্ষের ওখানে গিয়েছিলাম। আপতত কক্ষটি আমরা সিলগালা করে রেখেছি। যাতে উভয়পক্ষের মধ্যে কোন ভুল বুঝাবুঝি তৈরি না হয়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়