শিক্ষকের ওপর হামলার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের (বিএম কলেজ) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলামরে ওপর সন্ত্রাসী হামলা অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিকেলে নগরীর বগুড়া রোডের মুমিতু কমিউনিটি সেন্টার ভবনের নিচ তলায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই বহুতল ভবনের অংশদারিত্ব নিয়ে জমি মালিক মো. মামুন মল্লিক ও ডেভলপার মো. নজরুল ইসলামের দ্বন্ধের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষক।
হামলার পর ওইদিন শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসা নেয়ার পর গতকাল বাসায় ফিরেছেন তিনি। এ ঘটনায় গতকাল তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামুন মল্লিকসহ অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। তবে অভিযুক্ত মামুনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
আহত শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছর ওই ভবনের ৭ম তলার ‘বি’ নম্বর ফ্ল্যাট কিনে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। জমির মালিক ও ডেভলপারের দ্বন্ধের জের ধরে ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের নিচতলার হাঁটাচলার পথে দেয়াল করা হয়। সিটি করপোরেশন সম্প্রতি অবৈধ ওই অংশ ভেঙ্গে দেয়। এর দায় চাপানো হয়েছে তার (তরিকুল) ওপর। শনিবার বিকেলে লিফট থেকে নিচ তলায় নামতেই জমির মালিক মামুন মল্লিক ‘তুই তোকারি’ করে দেয়াল ভাঙ্গার দায় চাপিয়ে ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। ঠেকাতে গিয়ে ডান হাতে আঘাত লাগে। পরে সে একটি কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে দ্বিতীয়বার ঠেকাতে গিয়ে একই হাতের আঙ্গুলেও আঘাত লাগে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে রক্ষা করেন। পরি মুন্সি গারেজ এলাকায় আবারও মামুন মল্লিক তার ওপর হামলার চেষ্টা করে। আঘাত নিয়ে ওইদিন শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে গতকাল বাসায় ফেরন তিনি। এ ঘটনায় গতকাল কোতয়ালী থানায় মামুন মোল্লা সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন তিনি।
হামলা ঘটনা ওই ভবনের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেট মাধ্যমে ভাইলার হয়েছে। শিক্ষকের ওপর হামলার চিত্র দেখে অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে মামুন মোল্লার মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও প্রথমে রিসিভ করে কথা বলেননি। দ্বিতীয়বার ফোন দেয়া হলে বিজি (ব্যস্ত) দেখায়। তৃতীয়বারও কোনো সাড়া মেলেনি।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. লোকমান হোসেন বলেন, আসামি পাওয়া যাইতেছে না। সে এখনও বাসায় ফেরেনি। চেষ্টা অব্যাহত আছে।