শিক্ষকদের অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের তদন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝালকাঠিঃ জেলার সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহামেদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ, ঘুস গ্রহণের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
গতকাল দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অর্থ-রাজস্ব) মো. নূরুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত শুরু করেন। এ সময় তিনি অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ও অভিযোগকারী শিক্ষকদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, বদলি নীতিমালায় ৩ ও ৬ নম্বর শর্তে দূরত্ব, লিঙ্গ, জ্যেষ্ঠতা বিবেচনার কথা থাকলেও তা উপেক্ষা করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে জ্যেষ্ঠদের বঞ্চিত করে কনিষ্ঠদের বদলির আদেশ জারি করা হয়। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে।
শিক্ষকদের দাবি, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের চিহ্নিত দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনে যাচাই-বাছাই না করে কনিষ্ঠ শিক্ষকদের বদলির সব ব্যবস্থা করেছেন সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহমেদ। লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে শুধুমাত্র মহিলা শিক্ষকদের বদলির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন তিনি। কি কারণে আবেদন বাতিল করা হয়েছে তা প্রকাশ না করে অনলাইন পোর্টাল থেকে সহকারী শিক্ষকদের লগইন করার অপশনটি তুলে নেওয়া হয়। যার ফলে আবেদনকারী শিক্ষকরা আবেদন বাতিলের উপযুক্ত কারণ জানতে পারা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বদলির ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও অসদুপায় অবলম্বন করে বদলি বাণিজ্য করা হয়েছে।
খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, অনলাইন বদলিতে কোনো অনিয়ম হয়নি। আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়