শাহানারা আক্তার হ্যাপি অনলাইন স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন
শাহানারা আক্তার হ্যাপি, সহকারী শিক্ষক(বাংলা), কালিয়াপাড়া ডাকাতিয়া মাজেদা মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়, সখিপুর, টাঙ্গাইল। যিনি সারা দেশের শিক্ষকদের মাঝে হ্যাপি আপা নামে পরিচিত। শিক্ষক বাতায়ন ও মুক্তপাঠে যিনি সারা দেশের শিক্ষকদের মাঝে এক উজ্জল নক্ষত্র। ১৯ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তিনি নিজেকে একজন আদর্শ ও যোগ্য শিক্ষক হিসেবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
শিক্ষক পরিবারে জন্ম তার। বাবা আঃ খালেদ মাস্টার ছিলেন ভালুকার ঐতিহ্যবাহী শহীদ নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং মা আনোয়ারা বেগম ছিলেন ভালুকার ৫১ নং মল্লিকবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয় ৫ ভাই-বোনের সকলেই শিক্ষকতা নামক মহান পেশায় ব্রত। যা সারা জেলায় বিরল।
বাবা-মা শিক্ষক হওয়ার সুবাদে তিনি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন একজন আদর্শ শিক্ষক হয়ে জাতি বিনির্মানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। সত্যিই আজ তিনি জাতি বিনির্মানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সারাদেশের শিক্ষকদের আইডল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
তিনি ২০১৫ ও ২০১৬ সালে শিক্ষক বাতায়নে সপ্তাহের সেরা কনটেন্ট নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৭ সালে সারা বাংলাদেশ থেকে যে ১৬৮ জন জেলা অ্যাাম্বাসেডর নির্বাচন করা হয় শাহানারা আক্তার হ্যাপি তাদের মধ্যে অন্যতম।
ব্রিটিশ কাউন্সিলে ইন্টারন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছেন এবং তার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে তার স্কুল (কালিয়াপাড়া ডাকাতিয়া মাজেদা মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়) ব্রিটিশ কাউন্সিলের "ইন্টারন্যাশনাল আইএসএ ফুল অ্যাওয়ার্ড" লাভ করেন। তিনি পরপর ৪ বার (২০১৬,২০১৭,২০১৮ এবং ২০১৯ সাল) উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হন। তিনি ২০২০-২০২১ সালে মাইক্রোসফট ইনোভেটিভ এক্সপার্ট(এমআইই) হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও তিনি বাংলা ও আইসিটি বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন
একুশ শতকের একজন যোগ্য শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে তিনি একজন লং লাইফ লার্ণার হিসেবে নিজেকে প্রতিনিয়ত আপডেট রাখার চেষ্টা করেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে তিনি টাঙ্গাইল অনলাইন স্কুল, ময়মনসিংহ অনলাইন স্কুল, ভোলা অনলাইন স্কুল, বান্দরবন অনলাইন স্কুল, বড়ুরা ভার্চুয়াল অনলাইন স্কুল ও কালিয়াপাড়া ডাকাতিয়া মাজেদা মজিদ অনলাইন স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন।
শিক্ষাবার্তা/এসআই