রাবি জুড়ে ৩০ হাজার বৃক্ষরাজির সবুজ সমারোহ
নিউজ ডেস্ক।।
৩০ হাজারেরও বেশি গাছের সম্ভার নিয়ে দাড়িঁয়ে আছে মতিহারে সবুজ ক্যাম্পাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের উদ্যোগে এক বৃক্ষ শুমারিতে এমন তথ্য উঠে আসে। প্রকল্পটির উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা এই উদ্যোগটি গ্রহন করেন।
গত বছরের ৩রা মে থেকে ১৪ই মে পর্যন্ত পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে এ বৃক্ষশুমারি পরিচালনা করা হয়। শুমারি করতে ক্যাম্পাসের ৯ টি স্থানকে ৩৮টি উপ অঞ্চলে পৃথক করা হয়। শুমারির পর জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট পরিণত গাছের সংখ্যা ৩০ হাজার ১৯১ টি। মেহেগুনি আছে ১০ হাজার ৩২৫ টি, আম আছে ৩ হাজার ৪১৫ টি, নারিকেল ১,০২৩ টি, জাম-৯৩৪ টি, কাঠাল-৭৮৬ টি এবং লিচু আছে ১৬৫ টি।
এছাড়া অন্যান্য গাছের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৪৩ টি। এর মধ্যে রয়েছে জারুল, রাধা চুড়া, কৃষ্ণ চূড়া, গগণ শিরিষ, বাদাম, শিমুল, আকাশমণি, বহেরা, আমলকি, হরিতকি, বন কাঠালি, কাঠ বাদাম, তমাল, হিজল, কামরাঙা, বেল, করমচা, হরিফল, লটকন, বিলাতি আমড়া, কাগজি লেবু, মালটা, কদবেল, কদবেল, জলপাই, পলাশ, জামরুল, সফেদা, রক্তকাঞ্চন, ডুমুর, চালতা, ছাতিম, খয়ের গাছ, বইচি ফল, কামিনী, নাশপাতি, আমড়া, শিশু গাছ, দেবদারু, আকন্দ, অশ্বত্থ বা পাকুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ক্যাম্পাসের প্রথম বৃক্ষশুমারি হয়েছে করোনার মধ্যে। কিছু গাছের সংখ্যা খুবই কম হওয়ায় সেগুলোর সংখ্যা অন্যান্য এর মধ্যে স্থান পেয়েছে। গুল্ম ও বিরূৎ ছাড়া বড় গাছগুলো গণনায় স্থান পেয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর মেয়াদী মাস্টার প্লানে ৪ টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে গাছ রোপণের পরিকল্পনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- কাঠের মূল্যমান, ফলজ, ঔষধি গাছ, ফুল জাতীয় সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। এরই মধ্যে সেগুলো বাস্তবায়ন শুরু করেছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই লক্ষ্যে এরই মধ্যে জয় বাংলা আরকানন, মতিহার উদ্যান, শতবর্ষে শত প্রাণ, সফেদা বাগান, মমতাময়ী শেখ হাসিনা আরকাননসহ বেশ কয়েকটি উদ্যান প্রস্তুত করা হয়েছে।
বৃক্ষশুমারির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবরিনা নাজ বলেন, গাছ লাগানোর সিজনে অনেক গাছ লাগানো হয় তবে সেসব গাছ বেঁচে থাকছে কিনা, বেড়ে উঠছে কিনা সেগুলোর যত্ন নেওয়া এবং দেখভালের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গাছগুলোর পরবর্তীতে কি অবস্থা সে বিষয়টি বৃক্ষশুমারির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যায়। সূূূত্র:bd24live.com