অনলাইন ডেস্ক।।
দেড় যুগের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছেন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের (টিএসসি) শিক্ষকরা। নিজ দায়িত্বের তিন-চার গুণ অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলেও এখনকার বেতনের চেয়ে বেশি হবে না। এরপরও এই শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না।
উল্টো উপরের পদে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
এরই প্রতিবাদে রাজশাহীতে সমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ শিক্ষক সমিতি। সমাবেশ থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত টিএসসির শিক্ষকদের পদোন্নতি না দিয়ে থেকে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমিতির বিভাগীয় আহ্বায়ক তারিকুল হাকিম। সমাবেশে জানানো হয়, দেশে ৬৪টি টিএসসি আছে। পদোন্নতিবঞ্চিত শিক্ষকর সংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। এরমধ্যে রাজশাহী বিভাগের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ শিক্ষক আছেন।
এখন আবার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টিএসসি হচ্ছে। কিন্তু পুরনো শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের পর থেকে কোন শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় এখনকার কর্মরত শিক্ষকরা তিন-চার গুণ বেশি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নিয়মিত কোর্স প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটের নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর সঙ্গে অতিরিক্ত কোর্স হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিনা পারিশ্রমিকে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করেছেন তারা। বর্তমানে নিয়মিত কোর্সের সঙ্গে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, এবং বিএমটি একাদশ শ্রেণী অতিরিক্ত কোর্স হিসেবে পরিচালনা করছেন তারা।
সরকার ২০২১ সালে ৬৪টি টিএসসির অনুকুলে ২ হাজার ৬৯৫টি পদ এবং ১০০টি টিএসসির জন্য ৬ হাজার ৪০০টি নতুন পদ রাজস্ব খাতে সৃষ্টি করলেও দীর্ঘ ১৮ বছর রাজস্ব খাতের চাকরি করেও শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক রাশেদুল আলম, মো. খালেদুজ্জামান, জহুরুল ইসলাম, জিয়াউল ইসলাম, আম্বিয়া খাতুন, ইউসুফ আলী প্রমুখ। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশে রাজশাহী বিভাগীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য এবং বিভাগীয় বিভিন্ন টিএসসির শিক্ষকেরা অংশ নেন।
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।