রমজানে ১০/১২ দিন খোলা রাখতে সাপ্তাহিক ছুটি কমানোর সমালোচনা
।। অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন খাঁন।।
পবিত্র মাহে রমজান বছরের প্রথম দিকে তাই এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাধারে ছুটি শিক্ষার্থীরা পাঠ ভুলে যাবে, শিক্ষক শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা শিক্ষা পরিবেশ থেকে দূরে সরে যাবে ।
আবার এ সময়টা শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিকে তাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সপ্তাহে এক দিন ছুটি কমানোর চিন্তা ভাবনা করছে । পবিত্র রমজান মাসের ৩০দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সম্ভব না ।
তারপর ঈদের ছুটি দিতেই হবে । হয়তো শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে ১০/১২ দিন খোলা থাকতে পারে । যেমন এ বছর ১৫ দিন খোলা রেখেছেন । আর শনিবার ছুটি বাতিল করলে বছরে ৫২ দিন ছুটি বাতিল হয় ।
তাছাড়া সারাদেশের সরকারি কর্মকর্তা –কর্মচারিদের সকল অফিস আদালতের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনের । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুদিনের ছুটি নিয়ে এতো ভাবনা কেন?
বেসরকারি শিক্ষকরা আছেন অনেক বেতন বৈষম্যে, উৎসব ভাতা ২৫%, চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়া নাম মাত্র। এসব নিয়ে ভাবনার কোনো নেতা বা দেশপ্রেমিক পাওয়া যায়না ।
প্রধানমন্ত্রীকে বুঝানোর মতো কোন নেতা পাওয়া যায় না। অথচ সাপ্তাহিক ছুটি নিয়া বিভ্রান্তির মধ্যে সকল শিক্ষক-কর্মচারিদের রাখছে যাতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামার সময় না পায় ।
আগে শিক্ষা জাতীয়করনের পথে হাটতে হবে দেশ । নতুন কারিকুলাম শুরুই হয়েছে দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে । শিক্ষকদের লজ্জা থেকে বাঁচাতে উৎসব ভাতা পূর্ণাঙ্গ হতে হবে ।
১০/১২ দিন রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ৫২দিন সাপ্তাহিক ছুটি কমানোর ভাবনা দূরে সরে যাবার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ করছি ।
সকল প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সাপ্তাহিক ছুট শুক্রবার ও শনিবার থাকবে এটাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রত্যাশা ।
শিক্ষা বিপ্লবের শুভেচ্ছা ।
লেখক-
অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন খান
মিরুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪