রংপুরে ৫ ঘন্টায় ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছেঃ রিটার্নিং কর্মকর্তা
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট শুরুর পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ২৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আব্দুল বাতেন মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টায় সাংবাদিকদের বলেন, “সকাল সাড়ে ৮টায় একযোগে ২২৯ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট শুরু হয়। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ধারণা করা যায়, প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।”
ভোট স্বাভাবিকের চেয়ে কম পড়ছে কি-না জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “শীতের কারণে হয়তো সকালে ভোটারের উপস্থিতি একটু কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ছে। আশা করি, শেষ পর্যন্ত ভাল ভোটই পড়বে।”
রংপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে সকাল থেকে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফলাফল গণনা শুরু হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, সকালে শীতের কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। কেন্দ্রগুলোতে বড় ধরনের কোনো লাইন দেখা যায়নি। নারী ভোটারের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের লাইনও কিছুটা বড় হতে দেখা গেছে। তবে দুপুর পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রে ও ভোটকক্ষের (গোপনীয় কক্ষের বাইরে) নির্ধারিত স্থানে স্থাপিত করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
ঢাকা থেকে সিসিটিভিতে রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, সেখানে ‘উৎসবমুখর পরিবেশে’ ভোট হচ্ছে বলেই তার মনে হয়েছে।
ভোটের অর্ধেক বেলা পার হলেও ‘কোনো অভিযোগ পায়নি’ ইসি। ভোটার উপস্থিতিও ‘সন্তোষজনক’ জানিয়ে শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে এ নির্বাচন শেষ হবে বলেও সিইসি আশা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে বেলা সকাল সাড়ে ১১টায়, অর্থাৎ ভোট শুরুর তিন ঘণ্টা পর ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ধারণা দেন, ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটে নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ভালো। সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ১৭টি কেন্দ্রের কোথাও কোথাও ইভিএমে তাৎক্ষণিক যান্ত্রিক ত্রুটির খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবেই সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। শীত ও কুয়াশার দাপটের কারণে সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম হয়েছে বলে ধারণা ইসি আনিসুর রহমানের।
ভোটের তথ্য
মেয়র পদে ৯ প্রার্থী; ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী; ৩০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন; পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ ও নারী ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
২২৯টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ১৩৪৯টি।
রিটার্নিং অফিসার- নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইসির যুগ্মসচিব আব্দুল বাতেনের সঙ্গে ১১ জন সহকারি রিটার্নিং অফিসার থাকবেন।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২২৯ জন; সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এক হাজার ৩৪৯ জন; দুই হাজার ৬৯৮ জন মোট পোলিং অফিসার।
গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই/এএসআই ও তিন জন কনস্টেবল), দুই জন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (চারজন মহিলা ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে।
নির্বাহী হাকিম: প্রতিটি ওয়ার্ডে একজনসহ ৪৭ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্বে নিয়োজিত। বি
চারিক হাকিম: ১৬ জন।
প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪-১৫ জন করে নিরাপত্তা সদস্য।
তফসিল: ৭ নভেম্বর সময়সূচি ঘোষণা। মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর; বাছাই ১ ডিসেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৮ ডিসেম্বর।