রংপুরের এক প্রাথমিকেই অনুপস্থিত শতভাগ শিক্ষক
রংপুরঃ জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথা সময়ে উপস্থিত না হলেও সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক হাজিরা খাতায় নির্ধারিত সময়ের উপস্থিতি স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন। যা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ। এমনটি সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে একরকম প্রতারণা ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিশু ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পাঠদানে অবহেলাও বটে!
চলমান তথ্য উদ্ঘাটনে রোববার (১৬ জুলাই) চিলাপাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয় নিযুক্ত ৯ জন শিক্ষকদের মধ্যে সকলেই অনুপস্থিত।
ওই প্রতিষ্ঠানে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক উমর ফারুক আনছারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব, বর্তমান আমি উপজেলায় প্রশিক্ষণে আছি।
প্রধান শিক্ষকের অবর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার রায় আনুমানিক ১০টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে নিজের অনুপস্থিতির ব্যাপার তোয়াক্কা না করে অন্যান্য অনুপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষে সুপারিশমূলক মতপ্রকাশ করেন। তার আলগা সহানুভূতির রহস্য উদ্ঘাটনে জানা গেছে, তিনি ব্যবসায়িক চেতনাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী, তারাগঞ্জে তার জুয়েলারি ব্যবসা আছে।
একই চিত্র কাটাবাড়ির ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ৯টা ১৫ মিনিটে শিক্ষকদের উপস্থিতি স্বাক্ষর হওয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও তিনজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন ১০টা ৫ মিনিটের পর। কিন্তু হাজিরা খাতায় উপস্থিতি স্বাক্ষর দেখান ৯টা ১৫ মিনিটে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চিলা পাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাই নিজেদের খেয়াল খুশিতে স্কুলে আসা-যাওয়া করেন।
উল্লিখিত বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরাকে অবগত করলে তিনি বলেন, তথ্য সাপেক্ষে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করেন আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তারাগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়নে আমরা অবশ্যই সচেষ্ট ভূমিকা পালন করব।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৭/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়