যেভাবে ৪ গার্মেন্টস নারী কর্মী স্নাতক ডিগ্রি নিলেন
নিউজ ডেস্ক।।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রোগ্রামের অধীনে স্নাতক পর্যায়ে লেখাপড়া করেছেন ৪ গার্মেন্টস কর্মীর। বর্তমানে পোশাক শিল্পের মোট ৭০ জন নারী কর্মী সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় চট্টগ্রামের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করছেন।
জানাগেছে এবছরই প্রথম ব্যাচ হিসেবে তাদের মধ্য থেকে ৪ জন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং শিল্পের ভেতরে ও বাইরে কর্মস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এটি নারী কর্মীদের শিক্ষা ও মর্যাদা উন্নয়নের যাত্রাপথে একটি বিশাল মাইলফলক বলে মনে করছে এ শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
সংশ্লিস্টরা জানান, বিজিএমইএ এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন মিলে বিজয় দিবসের দিন বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) একটি ই-গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের যোগাযোগ বাড়াতে পারবে।
এমন একটা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে অর্জিত জ্ঞান সামনের দিনগুলোতে কমিউনিটির উন্নয়নে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী আরো বলেন, সম্ভাবনা ও প্রতিভা সব শ্রেণির মানুষের মধ্যেই থাকে তা পোশাকখাতের কর্মীরাও প্রমাণ করলো।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, সেদিন আর দূরে নয় , যেদিন স্নাতক পাস করা নারী কর্মীরা বিভিন্ন সেক্টরে ম্যানেজমেন্ট পর্যায়ে কাজ করবেন। আর সেই জীবনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্রমিক ভাইবোনদের উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছি।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর ভিসি- চেরি ব্লেয়ার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এটা একটা চ্যালেঞ্জিং বছর । বিশ্বব্যাপী করোনা মহামরি, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
এমন একটা সময়ে তোমরা যারা আজ স্নাতক পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ করলে, তাদের মনে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস জন্মাবে যে আমরাও পারি। যেকোন বাধা, চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব। এতে মতামত ব্যক্ত করেন, স্নাতক শেষ করা চার শিক্ষার্থী সাথি হালদার, সাদেকা বেগম, শাহনাজ আরা খানম ও ইয়াসমিন আক্তার উর্মী ।
তারা শোনান, নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি অর্জনের সংগ্রামী গল্প। এর ফলে পুরো দেশের নারী গামের্ন্টস কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই খবর। অনেককেই আকৃস্ট করেছে। তারা শিক্ষার প্রতি তাদের মনযোগ বেড়েছে। তাই এ ধরনের কাজের আরো সুযোগ দেয়া দরকার।