যশোরে অশনির প্রভাবে দিন মজুরীরা বিপাকে
রুহুল আমিন, যশোর:
যশোরে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি প্রবহ চলছে। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ হচ্ছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দিনমজুরীরা বেশ বিপাকে পড়েছেন। প্রত্যাশী উপার্জনে ভাটা পড়ায় অনেকের ঋণের চিন্তার অন্ত নেই।
অবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভরতের অন্ধ প্রদেশ থেকে ‘অশনি’ নামক ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। ভরতের কয়েকটি অঞ্চলে এটি হানা দিয়েছে।
সেই প্রভাবে বাংলাদেশে যশোরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু হাওয়াসহ টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ৮ মে থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। ৯ মে থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতে কৃষক শ্রেণীর মানুষের ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে। ইরি মৌসুমের ধান বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শহর ও শহরতলীর দিনমজুরীরা জীবন-সংসার নিয়ে চরম বিপাকে।
শহরের দড়াটানার পাদুকা কর্মচারি কার্তিক চন্দ্র দাস জানান, ‘দুই ছেলেময়ে ও স্বামী-স্ত্রী মিলে চারজনের সংসার তার। এনজিও থেকে তার ঋণ নেয়া আছে। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। তিনদিনের বৃষ্টিতে তার কাজ নেই বললেই চলে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন তার আয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। কিš‘ বৃষ্টিতে তিনদিনে তার ১০০ টাকা আয় হয়েছে। বৃষ্টিতে তার চিন্তার শেষ নেই।’
ফল ব্যবসায় রহিস উদ্দিন জানান, ‘পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফল কিনে ফুটপথে তিনি বিক্রি করেন। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনি ব্যবসা করেন। আঙ্গুর, লিচু, আপেল বিক্রি করেন তিনি। বৃষ্টিতে মানুষ তেমন বাইরে বের হচ্ছে না। তার বেচাকেনাও তেমন নেই। কিস্তি শোধ করার জন্য তিনি বৃষ্টি মধ্যেও বের হয়েছেন। বিক্রি তো তেমন হচ্ছে না উল্টো তার ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
রিক্সাচালক হালিম মোল্লা জানান, ‘ভাড়ায় রিক্সা চালান তিনি। তিন সন্তান ও স্বামী-স্ত্রীর সংসার তার। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যেও তিনি রাস্তায় বের হয়েছেন। বৃষ্টিতে আগের মত ইনকাম হচ্ছে না। রিক্সা মালিকের টাকা দেয়ার তার কাছে সামান্য টাকা থাকছে না। যা তার নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।