ময়মনসিংহে মাটির নিচ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহে মাটির নিচ থেকে আকাশ মিয়া (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিকা জেসমিনের মা রোজিনা আক্তার ও চাচি নার্গিস আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।জেসমিন আক্তার ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মেয়ে।
মৃত আকাশ মিয়া উপজেলার অষ্টধর ইউনিয়নের ভুগলি গ্রামের আক্রাম হোসেনের ছেলে। সে অষ্টধর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ।
শুক্রবার (২১ মে) সন্ধ্যায় একই গ্রামের প্রেমিকা জেসমিন আক্তার এর বাড়ির পিছন থেকে পু্লিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।এর আগে বুধবার (১৯ মে) থেকে নিখোঁজ ছিলো ওই স্কুলছাত্র।
ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের এএসপি আলাউদ্দিন বলেন,আকাশের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়।ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মেয়ের সাথে আকাশের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২ মে তারা দুজনই পারিবারিক ভাবে না জানিয়ে গোপনে কোর্ট মেরেজ করে যার যার বাড়িতে চলে যায়।সম্প্রীতি তাদের কোর্ট মেরেজ এর বিষয়টি তাদের দুজনের পরিবারের লোকজন জানতে পারে।এ ঘটনায় আকাশের মা এবং তার চাচিকে আটক করা হয়েছে।অন্যান্যরা পালিয়ে গেছে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, জিয়াউর রহমানের মেয়ে জেসমিন আক্তারের সঙ্গে আগে থেকেই আকাশের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজন পরিবারের অজান্তে গত ২ মে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে। পরে বিষয়টি দুই পরিবারে জানাজানি হয়। বুধবার জেসমিন আক্তার ফোন করে আকাশকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর থেকে আকাশ নিখোঁজ।
তিনি বলেন,এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত আকাশের বাবা আক্রাম হোসেন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার জিয়াউর রহমানের বাড়ি তল্লাশি করে। এসময় ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এসময় ওই বাড়ির আশপাশে খোঁজ করা হয় এবং বাড়ির পিছনে একটা সন্দেহজনক গর্ত পাওয়া যায়। পরে সেই গর্ত খুঁড়ে আকাশের মরদেহ পাওয়া যায়। আকাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওসি আরও বলেন,গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি তদন্ত,চাঁদ মিয়া জানান,আসামী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যান্যদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।