মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বরিশালের জনজীবনে বিপর্যস্ত
অনলাইন ডেস্ক।।
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন। ঘন কুয়াশার কারণে নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে দুর্ঘটনা ঘটছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, মৌসুমের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল গতকাল শনিবার।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ হাওলাদার জানান, শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সূর্যের দেখা মিলেছে মাত্র তিন ঘণ্টা। বরিশালের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কুয়াশার কারণে সাধারণ দৃষ্টিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ১০০ মিটারে।
প্রচণ্ড শীতে দেখা দিচ্ছে শীতবাহিত রোগ। শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শিশু ওয়ার্ডে রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি, তবে জায়গা সংকট থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতার পাঁচ গুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। বরিশালের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচণ্ড শীতের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে জোয়ারের পানি ঢুকে যাওয়া আমন খেতের ধান ও খড়কুটো তুলতে না পারায় কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা কোল্ড ইনজুরির কবলে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা জানান, এবার অসময়ে জোয়ারের পানিতে আমন ধান, মুগডাল, মসুর ও খেসারি ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে খেত থেকে অবশিষ্ট ধানসহ অন্যান্য ফসল তুলতে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশায় ফলে সূর্যের দেখা না মেলায় ধান শুকানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে কৃষিক্ষেত্রে।