মে মাসের বেতন ঈদ বোনাস কিছুই পাননি ১৬ শিক্ষক-কর্মচারী
রাজবাড়ীঃ জেলার কালুখালী উপজেলার সূর্যদিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ও ঈদ উৎসব ভাতা না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রতিস্বাক্ষর না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাদরাসার সুপার আবদুল মালেক মণ্ডল প্রতি স্বাক্ষরের জন্য গত রবিবার রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
মাদরাসার সুপার জানান, প্রতি স্বাক্ষরের জন্য গত ৪ জুন ইউএনও কার্যালয়ে বিল পাঠানো হয়। বিলে প্রতি স্বাক্ষর না করায় এর আগে গত ১৩ জুন মাদরাসার সুপার ইউএনওকে লিগ্যাল নোটিসও পাঠিয়েছেন।
তবে ইউএনও বলছেন, মাদরাসার সুপার তার কার্যালয়ে না এসে অন্য একজনকে পাঠিয়েছিলেন, তাই স্বাক্ষর হয়নি।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদনে মাদরাসা সুপার আবদুল মালেক মণ্ডল উল্লেখ করেন, মাদরাসার ১৬ শিক্ষক-কর্মচারীর মে মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা বিলে কালুখালী ইউএনও প্রতি স্বাক্ষর না করায় তাদের পরিবারে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. সজীব বলেন, মাদরাসা সুপারকে সাত দিন ধরে ডাকা হচ্ছে। তিনি আসছেন না। তিনি এলেই প্রতি স্বাক্ষর করে দেওয়া হবে। তার কাগজে স্বাক্ষর করব, তিনি না এলে স্বাক্ষর করব কীভাবে। মাদরাসা সুপার সর্বশেষ বলেছেন, আপনি সই করে দেন আমি যেতে পারব না।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, লিখিত আবেদন পাওয়ার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মাদরাসা সুপারের ইউএনওর কাছে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি ইউএনওর কাছে যাননি। ইউএনওকে আবার লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন। এডিসি সাহেব তাদের ইউএনওর কাছে যেতে বলেছিলেন। গেলেই স্বাক্ষর করে দেবেন। সর্বশেষ গেছেন কি না তা জানা নেই।
মাদরাসা সুপার আবদুল মালেক মণ্ডল বলেন, ‘আমি এক জনপ্রতিনিধির রোষানলে পড়েছি। আমি স্বাক্ষর আনতে ইউএনও অফিসে গেলে আমাকে হেনস্তা করা হবে এমন আশঙ্কা করছি। তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা এই বেতনের ওপর নির্ভরশীল। বেতন না পাওয়ায় তাদের ঈদের আনন্দ থাকবে না।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৮/০৬/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়