মুসলিম দেশগুলো দ্রুত সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে
অনলাইন ডেস্ক ||
ভূরাজনীতিতে প্রভাব বলয় বাড়ানোর প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে সামরিক সামর্থ্য। যার সামরিক শক্তি যত বেশি, তত বেশি সে সমীহ পাওয়ার যোগ্য। যোগ্যতার এ মাপকাঠিতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে।
সামরিক শক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার সম্প্রতি যে র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে, তাতে মুসলিম দেশগুলোর বেশ অগ্রগতি দেখা গেছে। র্যাঙ্কিংয়ে থাকা ১৫টি মুসলিম দেশ তাদের অবস্থানের উন্নতি করেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ওই র্যাঙ্কিংয়ে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে অবস্থান করছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক সংকটের পরও সামরিক খাতে পাকিস্তানের এই উন্নতি অবাক করার মতো। ধীরে ধীরে সমরাস্ত্র শিল্পে আমদানি নির্ভরতা কমানোর পথে হাঁটছে দেশটি। র্যাঙ্কিংয়ে ১৫ থেকে ১০ নম্বরে উঠে এসেছে পাকিস্তান। দেশটি পেছনে ফেলেছে ইসরায়েল, কানাডা, ইরান ও ইন্দোনেশিয়াকে।
র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করা দ্বিতীয় মুসলিম দেশ আলজেরিয়া। উত্তর আফ্রিকার দেশটি গতবছর ছিল তালিকার ২৮ নম্বরে, এবার তারা একধাপ এগিয়েছে। আলজেরিয়ার বর্তমান প্রতিরক্ষা বাজেটের আকার ১ হাজার ৪০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সামগ্রীর প্রধান সরবরাহকারী মস্কো। তাদের অস্ত্রভান্ডারের ৯৫ শতাংশই রাশিয়ার তৈরি।
র্যাঙ্কিংয়ে বড় উন্নতি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৪৫ থেকে ৩৬ নম্বরে উঠে এসেছে উপসাগরীয় আরব দেশটি। গত এক দশক ধরে আরব আমিরাত সামরিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টারই ফল পেয়েছে দেশটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশ মরক্কো ৫৭ থেকে উঠে এসেছে ৫৩ নম্বরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক শক্তি বাড়ানোর কাজে বিপুল বিনিয়োগ করেছে দেশটি। দেশটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাসামগ্রী নির্মাতা ‘লকহিড মার্টিন’-এর সঙ্গে ৯ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে।
লিবিয়াও এগিয়ে যাচ্ছে সামরিক শক্তিতে। দেশটিতে অনেক বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চললেও ত্রিপোলিভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার উন্নতি করেছে সামরিক শক্তিতে। এজন্য অবশ্য দেশটি ঋণী তুরস্কের কাছে। তুরস্ক লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে সরকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি সরকারি বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছে। র্যাঙ্কিংয়ে লিবিয়া ৮০ থেকে এক লাফে উঠে এসেছে ৭০ নম্বরে।
বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে কুয়েতেরও। গত বছর দেশটি ছিল ৮৫ নম্বরে, ২০২১ সালে তারা জায়গা করে নিয়েছে ৭১ নম্বরে। এছাড়া উন্নতি করেছে ওমান, তিউনিসিয়া, আফগানিস্তান, কাতার, নাইজেরিয়া, কিরগিজিস্তান, আলবেনিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা।