মানবতার অবক্ষয়ের যুগেও পরম আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ
ঢাকাঃ চির নতুনেরে দিলো ডাক, পঁচিশে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। সঙ্কটে, সাহসে, আনন্দ-বেদনায় বাঙালির প্রতি মুহূর্তের আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ ও তার সৃষ্টিসম্ভার। আজ যখন হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী, দেশে দেশে যুদ্ধ আর মানবতার অবক্ষয়, তখনও আমাদের পরম আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ।
চির নতুনের মাঝে এভাবে নিজের আবির্ভাবক্ষণকে অনুভব করেছেন রবীন্দ্রনাথ। চেয়েছেন সূর্যের দীপ্তিতে পৃথিবীকে আলোকিত করতে।
তবু আঁধার কাটেনি... একুশে শতকে এসেও সভ্যতার সংকট। আশি বছর বয়সে তার উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা যেন অশান্ত বিশ্বে স্থায়ী রূপ নিতে শুরু করেছে। রক্ত ঝরছে গাজায়। মৃত্যুপুরী রাফাহ কিংবা ইউক্রেন। বিশ্ব যেন ফিরে গেছে গেল শতকের রক্তপাতে।
সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এর কারণটা হচ্ছে, সমগ্র বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাবে, একদিকে সভ্যতার চর্চা হচ্ছে, যেটা রবীন্দ্রনাথ বলছেন, মুক্তিরূপ। আরেকদিকে শক্তিরূপ। সভ্যতার এ সঙ্কটের কথাই তিনি বলেছেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে যখন শিল্প যুক্ত হয়, বিশেষ করে মারণাস্ত্র তৈরির শিল্প, তখন পৃথিবীর ভারসাম্য সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
তাহলে উপায়। ফিরতে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের কাছে। তার জাতীয়তাবাদী চিন্তা আর দর্শনের কথা বলছেন এই শিক্ষাবিদ।
শিক্ষাবিদ ফকরুল আলম জানান, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় নিউইয়র্কে কবিগুরুর সফরের সময় তাকে দেখতে আসা লোকেরা অভিযোগ কর যে, তারা ৪০ ডলার দিয়ে টিকেট কেটে ঢুকলো, অথচ কবিগুরু তাদের বকলেন। আর জাপানে কবিগুরুর সফরে তেমন কেউই ছিলেন না তাকে বিদায় জানানোর জন্য। কিন্তু কোনো সময়েই কবি পিছু পা হননি।
তিনি জানান, বিশ্বকবি চিরকালই চেয়েছেন বিশ্ববাসী যেন সব দ্বন্দ্ব আর ভুল বুঝাবুঝি থেকে দূরে সরে এক হতে পারে।
বহুত্ববাদী সংস্কৃতির কথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। সংহিসতার জন্ম দেয়া কারণগুলো নিরসনের জন্যও আমাদের বারবার রবীন্দ্রনাথের কাছেই ফিরতে হয়।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৫/২০২৪