মাদারীপুরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দাবিতে মানববন্ধন
মোহাম্মাদ ইমদাদুল হক মিলন, মাদারীপুর।।
মাদারীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্যানেলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটি। সোমবার সকালে মাদারীপুর প্রেসক্লাবের সামনে ২০১৮ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের পড়ালেখার সময় বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট ছিল। অন্যদিকে সার্টিফিকেট পাওয়ার পর হাইকোর্টের রিটের কারণে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের কোন বিজ্ঞপ্তি হয়নি। এমনকি ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও হয়নি। যদিও বর্তমানে চরম শিক্ষক সংকট বিদ্যমান। আগে ৬ মাস পরপর সহকারি শিক্ষক ও ২ বছর পরপর প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হতো। তাই আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা যারা ২০১৮ সালের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের বেশিরভাগের চাকুরীর বয়সসীমা শেষ। অপরদিকে, নারীদেরও এইচএসসি পাশে সহকারি শিক্ষককে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকছে না। জাতীয় সংসদের তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে, যা বর্তমানে ৪০ হাজারে গিয়ে পৌছেছে। এছাড়া পিটিআই, বিপিএড, মাতৃত্বকালীন ছুটি, চিকিৎসাজনিত ও বদলীজনিত কারণে ইত্যাদি কারণে প্রায় ২৫-৩০% ভাগ পদ শূন্য থাকে। তাই আমরা এই মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না’ বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা প্যানেলে নিয়োগ চাই।
মানববন্ধনে কমিটির সভাপতি শাহিন মিয়া বলেন, ২০১৮ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় সারাদেশে ২৪ লক্ষ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২.৩ ভাগ অর্থাৎ ৫৫ হাজার ২৯৫জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই তারা সকলে মেধাবী। এছাড়া ২০১০, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও প্যানেলের মাধ্যমে ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তাই মুজিববর্ষে আমরা প্যানেলের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।
মানববন্ধন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় এতে প্রায় শতাধিক চাকরী প্রত্যাশী প্রার্থীর অংশ নেয়।