মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেলো আলোকচিত্রীর
অনলাইন ডেস্ক।।
সাভারে বাড়ির সামনে মাদক সেবনে বাঁধা ও আড্ডা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক আলোকচিত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই ফটোগ্রাফারের নাম কৃষ্ণ সরকার (৪০)। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে কৃষ্ণ সরকারের ভাই গোবিন্দ সরকার চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
জানা যায়, কৃষ্ণ সরকার সাভার পৌর এলাকার আড়াপাড়া সুতার নোয়াদ্দা মহল্লার ননী গোপাল সরকারের ছেলে। স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন তিনি।
মামলার আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার লালনশাহ মাজার এলাকার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন মন্ডল পাড়া এলাকার মো. বারেকের ছেলে মো. নয়ন (২৪), সাভারের আড়াপাড়া এলাকার মো. বেল্লালের ছেলে সেপাল বাশার (২৫), একই এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে মো. আকাশ (২৪) এবং সাভারের নামাবাজার এলাকার জামালের ছেলে সোহেল ওরফে বুলেট (২৬)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে কৃষ্ণ সরকার ঢাকার মগবাজারের স্টুডিওতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে আড়াপাড়া জমিদারবাড়ির পুকুরপাড়ে এলে কয়েকজন কিশোরকে মাদক সেবন ও হইহুল্লা করতে দেখেন তিনি। এসময় কৃষ্ণ সরকার তাদের মাদক সেবন এবং আড্ডা দিতে নিষেধ করলে কিশোর গ্যাং সদস্যরা কৃষ্ণ সরকারকে এলোপাথাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কৃষ্ণ সরকারকে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বুধবার সকালে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কৃষ্ণ সরকার।
কৃষ্ণ সরকারের ভাই গোবিন্দ সরকার বলেন, বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে নিয়মিত এলাকার উঠতি বয়সের কিছু বখাটে তরুণ মাদক সেবন করে। তারা স্থানীয় বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, আড়াপাড়া জমিদার বাড়ি সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্তদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলাবার রাতে কৃষ্ণ সরকারের ভাই থানায় মামলা করেছে। এরপর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া কৃষ্ণ সরকারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।