মাউশির জরুরি আদেশ
নিউজ ডেস্ক।।
দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনায় জরুরি আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মঙ্গলবার মাউশি মহাপরিচালকের পক্ষে এ আদেশে সাক্ষর করেন উপপরিচালক শারিরীক শিক্ষা মো. আক্তারুজ্জামান ভূইয়া।
আদেশে বলা হয়, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা (দাখিল মান) ও কারিগরি (ভোকেশনাল) প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত সরকারি-বেসরকারি) শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক প্রতিদিন প্রাত্যহিক সমাবেশসহ রুটিন অনুযায়ী শারীরিক শিক্ষার ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি (ইনডোর / আউটডোর) খেলাধুলায় সরাসরি প্রত্যেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে রুটিন করে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের ক্রীড়া বিষয়টি ক্লাস রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এছাড়াও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আগামী গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিমিত্তে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা যাচ্ছে। এ জন্য শ্রেণি ভিত্তিক অথবা বিদ্যালয় ভিত্তিক ক্রীড়া টিম গঠন করতে হবে। টিম গঠন করার জন্য www.phyedu.org ওয়েবসাইটে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করা আছে। আগামী গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়ায় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
মাউশির নির্দেশে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকদের নিজ বিষয়ের সকল দায়িত্ব পালনে বাধ্য করবেন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে ক্রীড়া বিষয়ে লেখালেখি, ক্রীড়া কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য এবং ক্রীড়া বিষয়ে ভিডিও প্রদানের জন্য একটি মাইক্রো ব্লগ সাইট ওপেন করা হয়েছে। শারীরিক শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্লগে সহজেই রেজিস্ট্রেশন করে ক্রীড়া বিষয়ে ব্লগ লিখতে পারবেন। এছাড়াও প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনার বাৎসরিক ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং এ সম্পর্কিত কার্যাবলি ব্লগে প্রকাশ করবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের সমন্বয়ে ক্রীড়া ফান্ডের জন্য ব্যাংকে আলাদা হিসাব খুলতে হবে (প্রধান শিক্ষক এবং শারীরিক শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে)। উক্ত অর্থ থেকেই বাৎসরিক ক্রীড়া কার্যক্রম পরিচালনা সহ প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়ার উন্নয়নে অর্থ ব্যয় করতে হবে।