মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে, শপথ শুক্রবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে। আগামীকাল শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শপথ নেবেন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার একজন সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন।
এরপর থেকেই আলোচনা চলছে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার আকার বাড়বে। এ বিষয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের পর বর্তমান মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়তে পারে বলে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ জন সংসদ সদস্যের শপথ হয়েছে গত বুধবার। এরপর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
জানা যায়, একজন পূর্ণমন্ত্রী, চারজন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী যোগ হতে পারেন মন্ত্রিসভায়। যদিও কারা এই নতুন মুখ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানা গেছে।
যদিও মন্ত্রিসভা আকার বাড়ার বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন। তিনি জানান, তার কাছে এমন কোনো সংবাদ নেই। তিনি জানার পর বিস্তারিত বলতে পারবেন।
সরকারি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মন্ত্রিসভার দু-একজন সিনিয়র মন্ত্রীর দফতর পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্যে থেকেও তিন-চারজন আসতে পারেন।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণমন্ত্রী ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ১১ জন। ৩৭ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় কোনো উপমন্ত্রী নেই। এখনো দুটি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দেয়া হয়নি। এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দুজন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা আলোচনায় রয়েছে।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় বড় বড় কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব মন্ত্রণালয়ে আগে একাধিক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী ছিলেন।
সূত্র বলছে, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত একজনকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। ওই নারী সদস্য এবার দ্বিতীয় দফায় সংরক্ষিত আসনে সদস্য হয়েছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী দেয়া হতে পারে। এর আগের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট কোটায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন শামসুল আলম।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী দেয়া হতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও একজন প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর পাশাপাশি একজন পূর্ণ মন্ত্রী দেয়া হয়েছে বরাবরই।
এবার এখন পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একাই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী কিংবা বিভাগ ভাগ করে আরেকজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।