‘মদ্যপ’ আওয়ামী লীগ নেতার হাতে মাদ্রাসার শিক্ষক লাঞ্ছিত
নিউজ ডেস্ক।।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে ‘মদ্যপ অবস্থায়’ মাদরাসার এক শিক্ষককে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার চারাগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি মাজারে গান বাজনা বন্ধ নাকি চালু রাখা হবে- এ ব্যাপারে স্থানীয় মুসল্লী, জনপ্রতিনিধি এবং মাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে রোববার সকালে কলাগাঁও জঙ্গলবাড়ি মসজিদের সামনে বৈঠক ছিল। সে মোতাবেক আলোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে সেখানে আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আলী উপস্থিত হন এবং গান বাজনা খারাপ কিছু নয় বলে নানা কথা বলেন। এ সময় মুসল্লীরা তাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বললে তিনি চলে যান। পরে হাসান আলীর মদ্যপ আচরণ ও কথাবার্তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে মসজিদের সামনে আলোচনা শেষে দুপুরে বাঁশতলা দারুল হেদায়েত হাদিস উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক মাওলানা ওমর ফারুক ফিরে যাওয়ার সময় চারাগাঁও হাওর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পথরোধ করেন হাসান আলী। তিনি ওই শিক্ষককে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে মাদ্রাসার ছাত্র ও স্থানীয়রা ওই ইউপি সদস্যর বিচারের দাবিতে জুতা মিছিল করেন।
এ ব্যাপারে মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, ‘ইউপি সদস্য হাসান আলী আমার পথরোধ করে আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছ এবং হেফাজতি বলে গালাগাল করে হাত পা ভেঙে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় স্থানীয়রা মেম্বারের বিরুদ্ধে জুতা মিছিল করে এবং স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি মিটমাট করে দেওয়ার জন্য আমাকে আশ্বস্ত করেছে।’
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বলেন, ‘মাজারে গান বাজনা বিষয় নিয়ে জামায়াত ও হেফাজত নেতারা আলোচনায় বসলে আমি সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে চলে আসি। আমি কোনো শিক্ষক বা কাউকে লাঞ্ছিত করিনি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খসরুল আলম বলেন, ‘ইউপি সদস্য হাসান আলীর মাধ্যমে মাদরাসার শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাটি মাদরাসার লোকজন আমাকে জানিয়েছেন। জরুরি কাজে বাইরে থাকায় সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছি।’
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, এ রকম ঘটনার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।