ভুয়া শিক্ষক দেখিয়ে কেয়ারটেকারের অর্থ আত্মসাৎ
ভোলাঃ জেলার চরফ্যাশনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্রের অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন নামে ভূতুড়ে কেন্দ্রে ভুয়া শিক্ষক দেখিয়ে ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের অর্থ লোপাট করা হয়।
জানা গেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চরফ্যাশনে কাগজে-কলমে মোট ২০৮টি শিক্ষাকেন্দ্র চালু আছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে কুরআন শিক্ষাকেন্দ্র ১৩১টি, প্রাক-প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কেন্দ্র ৭৪টি এবং বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ৩টি। প্রত্যেক কেন্দ্রর জন্য একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া আছে। প্রত্যেক শিক্ষক প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে সম্মানিভাতা পেয়ে থাকেন। এসব ভাতার টাকা শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাব নাম্বারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে বলে উপজেলা সুপার ভাইজার জাহিদ হোসেন জানান। এছাড়াও এসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাউপকরণ এবং আনুষাঙ্গিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে।
গোটা উপজেলাকে ৩টি ব্লকে ভাগ করে একজন মডেল কেয়ারটেকার এবং তিনজন সাধারণ কেয়ারটেকারের মাধ্যমে শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পরিচালিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, সাধারণ কেয়ারটেকার মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার অন্তত ২০টি কেন্দ্র নিজেই নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং এসব কেন্দ্রের সব ভাতা ও আনুষাাঙ্গক বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করছেন। ওইসব কেন্দ্রে ভুয়া শিক্ষক দেখিয়ে কেয়ারটেকার মোস্তাফিজুর নিজেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং ফাউন্ডেশনের তদারকি কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এমন অপকর্ম করছেন।
অভিযোগকারী সূত্র জানায়, ভুয়া কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ওসমানগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডের রাজমিয়া হাওলাদার মসজিদ, নীল কমল ৬নং ওয়ার্ডের চর যমুনা হাসিম মেম্বার বাড়ির মক্তব, ২নং ওয়ার্ডের মাও মোস্তাফিজুর রহমান বাড়ির মক্তব, হামিম মুন্সি বাড়ির মক্তব, নুুরুল হক সন্দার বাড়ির মক্তব, নুরাবাদ ৪নং ওয়ার্ডের পঞ্চায়েত বাড়ির মক্তব, ফরাজি বাড়ির দরজার জামে মসজিদ সংলগ্ন মক্তব, ৫নং ওয়ার্ডের মজিবল হক হাওলাদার বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন মক্তব, আবু বকরপুর ৫নং ওয়ার্ডের করিম উদ্দিন মুন্সি বাড়ির কেন্দ্র, মুজিব নগর ১নং ওয়ার্ডের ফারুক মেম্বার বাড়ির মক্তব, ক্লোজার জামে মসজিদসংলগ্ন মক্তব, মানিক প্যাদা জামে মসজিদ সংলগ্ন মক্তব, চর কলমীর ৪নং ওয়ার্ডের হাদিস হাওলাদার বাড়ির মক্তব এবং চর কুরকী মুকরীর ৮নং ওয়ার্ডের আনিচুল হক কালু কারবারির বাড়ির কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের মাঠপর্যায়ে বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। নেই কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থী। কেয়ারটেকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তার তদারকিতে ৫৮টি কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ তুলেছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চরফ্যাশন উপজেলা সুপারভাইজার জাহিদ হোসেন জানান, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১১/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়