ভুয়া ভাউচারে ১২ লাখ টাকা উত্তোলন শিক্ষা কর্মকর্তার
পঞ্চগড়ঃ জেলার বোদায় প্রধান শিক্ষকদের থেকে ভুয়া বিল-ভাউচার নিয়ে টাকা তুলে নিজের কাছে রেখেছেন বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান মন্ডল বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকদের থেকে নেওয়া ভুয়া বিল-ভাউচার ট্রেজারি থেকে পাশ করা তিনি।
জানা গেছে, পঞ্চগড়ের বোদায় নিজের টাকায় ৩০ জুনের মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ টাকার উন্নয়ন হয়েছে কাগজে-কলমে। সেই কাজের বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। জানা যায়, পিইডিপি ৪-এর আওতায় উপজেলার ৮টি বিদ্যালয়ে দুই লাখ করে টাকা বরাদ্দ হয়। ৩০ জুনের মধ্যে নিজের টাকায় অর্থ আবশ্যিকভাবে ব্যয় করে বরাদ্দকৃত টাকা নেওয়ার কথা ছিল। এই সময়ের মধ্যে কেউ কাজ করতে ব্যর্থ হলে টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যাবে। বাকপুর কেরামতিয়া বিদ্যালয় ব্যতীত বাকি সাতটি বিদ্যালয় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। এরমধ্যে কিছুদিন আগে কাজ শেষ করে টাকা উত্তোলন করেছে বাকপুর বিদ্যালয়। বাকি ৬ প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি, টাকাও পায়নি। কিন্তু টাকা উত্তোলন হয়েছে।
শ. ম. স্বপন কুমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিবালা রায় বলেন, কাজ চলমান আছে। ভাউচার দিয়েছি। শুনছলিাম বিল পাশ হয়েছে, কিন্তু কোথায় টাকা আছে জানি না।’
জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান মন্ডল বলেন, ‘আট বিদ্যালয়ের মধ্যে দুটি টাকা পেয়েছে। বাকি ৬টির টাকা আমার কাছে আছে। কাজ শেষ করলে দিয়ে দেব।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘টাকা ফেরত গেলে উন্নয়ন কাজ হবে না। যারা এখন পর্যন্ত নিজের টাকায় কাজ করেছেন তাদের লোকসান হবে।’
রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভুয়া ভাউচারে টাকা উত্তোলন করা ঠিক হয়নি। বিষয়টা দেখছি।’ সূত্র; প্রতিদিনের সংবাদ
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়