ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিতর্কিত কেকা রায় চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজধানীর ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কেকা রায় চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি গত ৫ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নব নির্বাচিত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, গত ৫ এপ্রিল ম্যানেজিং কমিটি আমাকে এ দায়িত্বভার অর্পন করেন। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের চেষ্টা করবো।
ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা কামরুন নাহার গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ হিসেবে প্রেষণে যোগদান করেন। জন্ম তারিখ অনুযায়ী গত ৫ এপ্রিল চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হয়ে অবসর গ্রহণ করেন কামরুন নাহার।
এমতাবস্থায় নিয়ম অনুযায়ী, ভিকারুননিসার জেষ্ঠ্য শিক্ষক হিসেবে হাসিনা বেগমের নাম আসে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ভর্তিতে অনিয়মসহ নানা অভিযোগের মামলা চলমান থাকায় দ্বিতীয় জেষ্ঠ শিক্ষক কেকা রায় চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, যেহেতু হাসিনা বেগম এখনো ৪৪৩ অতিরিক্ত ভর্তির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাননি তাই দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠশিক্ষক কেকা রায় চৌধুরীকে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ভিাকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবৈধভাবে ৬৯ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে পর এবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগেরও অভিযোগ উঠলো।
গত বুধবার (৫ এপ্রিল) কলেজটির ১৫ জন শিক্ষক লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে। একই দিন অভিভাবকরাও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন সচিবের কাছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অমান্য করে গোপনে বৈঠক করে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বাদ দিয়ে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলেজের শিক্ষক কেকা রায় চৌধুরীকে। অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অবসরে যাওয়ার তিন দিন আগে গোপন বৈঠক করে এই অনিয়ম করা হয়েছে।
অভিযোগ আরও বলা হয়, গোপনে বৈঠক করা হয়েছে দুজন শিক্ষক প্রতিনিধি এবং তিনজন অভিভাবক প্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে। গোপন বৈঠকে গভর্নিং বডির যেসব সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে অভিভাবক রয়েছেন—সদস্য ড. তাজুল ইসলাম, সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন এবং ওয়াজেদুজ্জামান মন্টু। আর শিক্ষক প্রতিনিধি দুজন হলেন—আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ ও চাঁদ সুলতানা।
কয়েক মাস আগে কামরুন নাহার অধ্যক্ষ থাকাকালে অ্যাডহক কমিটি ৬৯ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়। এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গত ১৩ জানুয়ারি অবৈধ নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সর্বশেষ বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষের নেতৃত্বে গোপন বৈঠক করে গত ৫ এপ্রিল জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়।
জানতে চাইলে সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, সভাপতিসহ সবাই যাকে ভালো মনে করছে, তাকে নিয়োগ দিয়েছে, এখানে আমার কিছু করার নেই। তা ছাড়া জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের মামলাটি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি বলেছেন সদস্যরা।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৯/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়