ব্রেইণ: মৃত্যুর পরও সক্রিয় থাকে ২৪ ঘন্টা
অনলাইন ডেস্ক ||
শরীরে রক্ত সঞ্চালন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। থেমে গেছে হৃদপিণ্ডও। তবুও অনেকটা সময় সচল থাকে মানুষের ব্রেনের রহস্যময় কিছু কোষ। এগুলো শুধু সক্রিয়ই থাকে না, মৃত্যুর পর বেড়ে যায় তাদের কর্মক্ষমতাও। এমনকি বাড়ে কাজকর্মের গতিও।
বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো শনাক্ত হওয়া রহস্যময় এই কোষগুলোর নাম দিয়েছে ‘জোম্বি সেল’। এগুলো আসলে ব্রেনের ‘গ্লায়াল সেল’। সম্প্রতি এক গবেষণায় সেই রহস্যময় কোষগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মৃত্যুর পরও ২৪ ঘণ্টা এই কোষগুলো কাজ করে যায়। আর সেই কাজের গতি আগের চেয়েও অনেক বেশি। তবে ২৪ ঘণ্টা পর মারা যায় কোষগুলো। তখন ব্রেনের চারপাশে ঘিরে থাকা মৃত কোষ, কলাগুলোর থেকে তাদের আলাদা করা সম্ভব হয় না।
ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক জেফ্রি লোয়েব ও তার সহযোগীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। তারা দেখতে পেয়েছেন যে, মানুষের মৃত্যুর পরও ব্রেনের এই রহস্যময় কোষগুলো নতুন নতুন শুঁড় বের করে। সেগুলো খুব সক্রিয় হয়ে ওঠে।
এর আগে বেশির ভাগ গবেষণাই দেখিয়েছে যে, হৃদযন্ত্রের কাজকর্ম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলেই ব্রেন অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু এই গবেষণায় সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য উঠে এলো। এর ফলে অটিজম, অ্যালজাইমার্স, স্ক্রিজোফ্রেনিয়ার মতো কয়েকটি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের ব্রেন কিভাবে কাজ করে তা বোঝা সহজ হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।