বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীরা বলেছেন, মেধার যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার পরও নির্মম পরিণতির শিকার হচ্ছি আমরা। রোদে পুড়ছি, মার খাচ্ছি, কিন্তু কোনো ধরনের উত্তর পাচ্ছি না আমরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
রবিবার ছয় দাবি নিয়ে ষষ্ঠ দিনের মতো পিএসসির সামনে অবস্থানকালে এসব কথা বলেন বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীরা।
সে সময় নন-ক্যাডার প্রার্থীরা বলেন, পিএসসির চেয়ারম্যান স্যার বলেছেন বিধির বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। কিন্তু বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, এক ডিপার্টমেন্ট থেকে অন্য ডিপার্টমেন্টে গিয়ে জুতার তলা ছিঁড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নন-ক্যাডার প্রার্থীরা পোস্ট সংগ্রহ করলেন। এবং চেয়ারম্যান স্যারের কাছে নন-ক্যাডার লিস্ট দেওয়ার পরিস্থিতি হওয়ার পরও পোস্ট ফেরত দিয়ে বিধি লঙ্ঘন করে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করলেন।
এ সময় চেয়ারম্যান পদ বিভাজন করতে চাচ্ছেন বলে দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। তারা বলেন, সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর সুস্পষ্টভাবে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে সুপারিশ করার জন্য চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে সরকার এবং রাষ্ট্রের বিশেষ প্রয়োজনে। আপনি তা ফিরিয়ে নিয়ে বিধি লঙ্ঘন করেছেন। আপনি তারিখ অনুযায়ী পদ বিভাজনের কথা বলছেন।
এ ধরনের কোনো বিধি নন-ক্যাডার বিধিমালায় নেই উল্লেখ করে তারা বলেন, আপনারা যে বিধিমালার দোহাই দিচ্ছেন, আপনারা নিজেরাই সেই বিধিমালা পড়তে এবং প্রয়োগ করতে পারেন না।
অবস্থান কর্মসূচিতে নন-ক্যাডার প্রার্থীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকরা শিক্ষাঙ্গন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, পর্বের বিধি অনুযায়ী যে নিয়োগপ্রক্রিয়া রয়েছে সেটাই রাখতে হবে। নতুন যে বিধির কথা চেয়ারম্যান স্যার বলছেন সে বিধি যদি স্থাপন করা হয় তাহলে শিক্ষা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
তারা আরো বলেন, এ বিধির কারণে শিক্ষাঙ্গন পুরোপুরি দুর্নীতির আখড়া হয়ে যাবে। তাহলে এত পড়ালেখা করে কী লাভ, যদি একটা চাকরির জন্য ছেলে-মেয়েদেরকে দিনের পর দিন রাস্তায় থাকতে হয়। আমরা অভিভাবকরাও আমাদের সন্তানদের পাশে আছি। দেখি তারা কত দিন আমাদেরকে এই রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখে।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে মিছিল নিয়ে পিএসসির চারপাশ প্রদক্ষিণ করেন বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীরা।