বিশ্বের সবচেয়ে কমদামে টিকা দিয়েছিঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক।।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন,অন্য দেশের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে টিকা দিয়েছি বলে গণমাধ্যমে এসেছে। এটা সঠিক নয়। উল্টো আমরা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে জনগণকে টিকা দিয়েছি। ডাব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) তথ্য দিয়ে থাকলেও সেটা সঠিক নয়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন।
টিআইবির প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের প্রতিবেদন যে গ্রহণ করিনি সেটাই বললাম। আমরা অবশ্যই এটা প্রত্যাখ্যান করি। একটা সংস্থা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। যেহেতু এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিআইবির একটি রিপোর্ট এসেছে। কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই, কারণ সেখানে কিছু তথ্য আছে যা সঠিক নয়। টিআইবি বিশ্বজুড়ে কাজ করে। আমরা ভালো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সংস্থা, এরমধ্যে টিআইবিও হয়তো এটিকে গুরুত্ব দেয় না। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা দেয়া হয়েছে বলেছি কিন্তু এটা সরকার খরচ করেছে এটা বলিনি। সরকার খরচ করেছে ২০ হাজার কোটি টাকা প্রায়। বাকিটা যে সাড়ে ৯ কোটি টিকা বিনামূল্য পেয়েছি সেটার দাম হিসাব করে বলেছি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় ১৩ কোটি প্রথম ডোজ, ১১ কোটি ৬০ লাখ দ্বিতীয়, বুস্টার প্রায় ১ কোটি দিয়েছি। মোট জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ, ৬৮ শতাংশকে দ্বিতীয় আর বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ৭ শতাংশকে।
‘টিকার সাফল্যের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এ কারণে নানা আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় সঠিক তথ্য সব সময় আসে না। টিআইবি রিপোর্ট দিয়েছে, বেশ কিছু তথ্য আছে যেগুলো সত্য নয়। টেলিফোনের মাধ্যমে তথ্য নেয়া হয়েছে। সার্ভে করা হয়েছে মাত্র ১৮শ মানুষের মধ্যে। এত ছোট পরিসরে সার্ভে করায় সঠিক তথ্য উঠে আসেনি। এটার সাইজ এতো ছোট যে আমরা এটাকে সঠিক বলে ধরে নিতে পারি না।’
টিআইবির প্রতিবেদনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ষাটোর্ধরা টিকা পায়নি এ তথ্য ঠিক নয়। দেশে কেউ বাকি নেই। যারা পায়নি তারা নিজের ইচ্ছায় নেয়নি।
‘আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক, ভাসমান মানুষের কাছেও টিকা নিয়ে গেছি। টিকা নিতে ঘুষ দিতে হয়েছে এ তথ্যও মেনে নিতে পারছি না। মহিলা ও প্রতিবন্ধিদের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছিল।’