বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায় ‘সবজি’র ফলন
শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠকক্ষের সামনে নান্দনিক ফুলের টব, ফলের চারা এর আগেও হয়তো দেখেছেন। কিন্তু, শিক্ষাঙ্গনের বারান্দায় সবজির চাষ হয়তো খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে এবার এমন অসাধ্যকে সাধন করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কৃষি বিভাগ। বারান্দায় নানা সবজির চাষ করে আলোচনায় এসেছে বিভাগটি।
বলা চলে, শীতকাল শেষ হলেও রয়ে যায় শীতের সবজি। মৌসুমি এসব সবজির সারা বছরই কমবেশি চাহিদা থাকে। প্রতিদিন এসব সবজি আমাদের নানাভাবে পুষ্টির যোগান দিচ্ছে। এই মাঠ ফসলসমূহ যখন সুউচ্চ তলায় হয়, তখন তা আরো আকর্ষণীয় হয়ে বাগান প্রেমীদের চোখে ধরা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নয়তলার উপরে ঐ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা রহমানের উদ্যোগে এমন বাগান করা হয়েছে।
জানা যায়, কৃষি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সবজির চাষাবাদ বিষয়ক পড়ালেখার বাস্তব জ্ঞান দিতে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এর আগে মাঠ পর্যায়ে এই কাজগুলো করা হলেও, জায়গার সংকুলান না থাকায় এবার নিজ বিভাগের নয় তলাতেই এই বাগান করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঐ বিভাগের সামনে থাকা বারান্দা জুড়ে শোভা পাচ্ছে শীতকালীন বাহারি শাক-সবজি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের মশলা গাছ সেই বারান্দা বাগানের সৌন্দর্যে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে সীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, টমেটো, কলমি শাক, হেলেঞ্চা, ভুট্টা, আলু, পিয়াজ, রসুনসহ কয়েক জাতের বিভিন্ন প্রজাতির ফসল শোভা পাচ্ছে।
এছাড়াও বিভাগটির সৌন্দর্য বর্ধনে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকারের রঙ-বেরঙের ফুলের চারাও লাগানো হয়েছে। মাটি আর প্লাস্টিকের টবগুলোয় বাহারি সবজি আর রঙিন ফুলের সমারোহে পুরো বারান্দাটি এখন বৃহৎ বাগানে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী মাশুকুর রহমান বলেন, আমাদের শিক্ষিকা ফারজানা রহমানের এই উদ্যোগ সত্যিই বিভাগের রূপ বদলে দিয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের সঙ্গে সঙ্গে এই বাগানটির মাধ্যমে আমরা বাস্তব জ্ঞান লাভ করতে পারছি। এছাড়াও গাছগুলো রক্ষায় আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।
কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা রহমান বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র এই গাছগুলো সম্পর্কে পাঠ্য জ্ঞান লাভ করছে। তাদের অনেকেরই এ সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান ছিল না। এমনকি তারা এই গাছগুলোর নামসমূহ ভালো করে জানত না। এ বাগানের মাধ্যমে তারা গাছগুলো সম্পর্কে অবহিত হতে পারছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর পুষ্টিচাহিদা মেটাতে এধরণের বাগান যথেষ্ট সাহায্য করবে। বিশেষ করে শহুরে জীবনে যাদের একখণ্ড বারান্দা বা ছাদ রয়েছে তারা অনায়াসে এ ধরনের বাগান করে পারিবারিক চাহিদা মেটাতে পারে।
এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হক শাহীন বলেন, আমরা সর্বদা শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে বদ্ধপরিকর। আশাকরি শিক্ষকদের এমন উদ্যোগ ও আন্তরিকতায় শিক্ষার্থীরা কৃষি সংক্রান্ত বাস্তবিক বিষয়গুলো জানবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১১/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়