বিদ্যালয়ের চুরি হওয়া ১২ ল্যাপটপ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইলঃ জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চুরির ঘটনায় ১২টি ল্যাপটপ উদ্ধারসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালতের বিচারক তিনজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। চুরির ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এপ্রিল পল মৃ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (২১), শোলাকুড়ি কুড়ালিয়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে শরীফ ওরফে শুভ (২০), ধনবাড়ী উপজেলার উখারিয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মুক্তার হোসেন (২৪), মমিনপুর কাউচিবাজার গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ইমরান (১৯), একই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলাম (১৯), হাবিবুর রহমানের ছেলে আবু সাইদ (২২), ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর নয়াপাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে ওমর সানি (২৫)।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, গত ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের কোনো এক সময় ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব থেকে ১৬টি ল্যাপটপ চুরি হয়। ল্যাপটপসহ যার আনুসাঙ্গিক মালামালের আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। চুরির ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের নির্দেশনায় দ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য ডিবি পুলিশ নিরন্তর চেষ্টা চালায়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত রেজাউল করিমকে রোববার (৫ মার্চ) ভোর রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রেজাউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানা এলাকার ওমর সানি ও আবু সাইদকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে মুক্তার হোসেন, ইমরান, খায়রুল ইসলাম ও শরীফ ওরফে শুভকে জেলার মধপুর ও ধনবাড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সোমবার (৬ মার্চ) গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, রেজাউল করিমের হেফাজতে থাকা ৬টি, ওমর সানির কাছ থেকে ২টি ও আবু সাইদ, ইমরান, খায়রুল মুক্তারের নিকট থেকে একটি করে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালতের বিচারক রেজাউল, ওমর সানি ও আবু সাইদকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এছাড়াও বাকি চারজন চোরাইকৃত ল্যাপটপ ক্রেতা ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। চুরি যাওয়া অন্যান্য মালামাল উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৮/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়